পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯

সরেজমিন প্রতিবেদন

পলাশে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই চিত্র উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজৈর ও ভিরিন্দা গ্রামের। এ দুই গ্রামের অনেক ফসলি জমি থেকে কৃষকদের অনুমতি না নিয়েই মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।

স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজৈর গ্রামের বসতভিটার পাশে ৩০০ বিঘা জমি রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩টি স্পট থেকে প্রায় ৫০ বিঘা জমির মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করলে মারধর ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে।

সরেজমিনে কাজৈর গ্রামের কয়েকটি ফসলি জমি ঘুরে দেখা গেছে, এক একটি জমিতে ৩ থেকে ৪টি ভ্যাকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। ট্রলি ভরে এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাশ্ববর্তী ইটভাটাগুলোতে।

জয়নাল নামে এক ভ্যাকু চালক জানান, গত এক সপ্তাহ যাবত তিনি এখান থেকে মাটি কাটছেন। প্রতিদিন শতাধিক ট্রলি ভরে পাশ্ববর্তী ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই মাটি। ইটভাটার মালিক এসব জমি কৃষকদের থেকে কিনে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

অপরদিকে ডাঙ্গার ভিরিন্দা গ্রামের জসিম মিয়া ও লাট মিয়া নামের দুই মাটি ব্যবসায়ী ওই গ্রামের প্রায় তিন বিঘা ফসলি জমিতে ভ্যাকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে কথা হলে জসিম মিয়া জানান, কৃষকরা এই জমিতে ফসল ফলাতে না পেরে তাদের কাছে খেতের মাটি বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই তারা জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন। জমি থেকে ৫ থেকে ৬ ফুট খনন করে মাটি সংগ্রহ করবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে স্থানীয় কৃষকরা জানান, ফসলি জমির মাটি তারা বিক্রি করেননি। একটি প্রভাবশালী মহল জোরপূর্বক মাটি কাটছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মাত্র ডাঙ্গা ইউনিয়নেই ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ২০-২২টি ইটের ভাটা রয়েছে। ডাঙ্গার ৪নং ওয়ার্ড কাজৈর গ্রামের ফসলি জমির ওপর থ্রি সেভেন নামের ইটভাটার মালিক জালাল হোসেন বলেন, ব্যবসা করলে একটু আকটু ক্ষতি হবেই। এটা কোনো সমস্যা না। ইউনিয়নের প্রতিটি ইটভাটার মালিকই ফসলি জমির মাটি কিনছে আমি কিনলে সমস্যা কি?। কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছাই মাটি বিক্রি করছে। এখানে কেউ জবরদখল করেনি।

এদিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বলেন, ইটভাটার কারনে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

পলাশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানা আলী বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close