নোয়াখালী ও গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি

  ১১ জানুয়ারি, ২০১৯

নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালীতে ক্ষতবিক্ষত তরুণী গোদাগাড়ীতে অটোরিকশাচালক

নোয়াখালী সদর উপজেলায় পারভীন নামে নিখোঁজ এক তরুণীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় সদরের ধর্মপুর ইউনিয়নের পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামে ওই তরুণীর বাড়ির পেছনের বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তরুণীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের দাবি তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের বাবা জহুরুল হক বলেন, তার মেয়ে চট্টগ্রামের এশটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। তিন মাস আগে সে বাড়ি আসে। এরপর থেকে এলাকার কিছু বখাটে তার মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করত। গত বুধবার সন্ধার পর থেকে পারভীনকে বাড়ীতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে বাড়ির পাশের বাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় পারভীনের লাশ দেখতে পাই। সুধারাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা জেনারেল হসপিটালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াস শরীফও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে গোদাগাড়ী প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় জসিম উদ্দিন (২০) নামে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে পৌরসভার সরমংলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জসিম রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম মাস্টারপাড়া মহল্লার আরফান আলীর ছেলে। গত সোমবার থেকে জসিম নিখোঁজ ছিলো বলে জানায় তার পরিবার। এ ঘটনায় জসিমের তিন বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন, নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার আবুল কালামের ছেলে জসিম উদ্দিন (২০) ও গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সুমন আলী (২৪) এবং একই এলাকার মারিফুল ইসলামের ছেলে রাজিব হোসেন (২৪)। ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, আটককৃতরা জসিমের অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছেন বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আটক ৩ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close