মাদারীপুর প্রতিনিধি

  ০৭ জানুয়ারি, ২০১৯

মাদারীপুরে ফুটপাতে শীতের ভাপাপিঠা বিক্রির হিড়িক

পৌষের তীব্র শীতে মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন ফুটপাত, অলি-গলিতে জমে উঠেছে ভাপা পিঠা বিক্রির হিড়িক। শীতের সন্ধ্যার পর পরেই ভাপা পিঠা বিক্রির দোকানগুলোতে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সের নান শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের শকুনী লেকপাড়, সদর হাসপাতালের সামনে, চৌরাস্তা, শান্তি নগর, পুরান বাজারের বিভিন্ন অলি-গলিতে রাস্তার ফুটপাতে ও মোড়ে মোড়ে বসেছে ভাপা পিঠার দোকান। পাশাপশি বিক্রি করছে চিতল (চিতাই) পিঠাও। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরেই জমে উঠে এসব পিঠা বিক্রি। বেশিরভাগ দোকানেই পিঠা বিক্রি করছেন নিম্নবিত্ত পরিবারের পুরুষ, নারী ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা।

পিঠা বিক্রেতা লোকমান মিয়া, মেহেরুন নেসা ও মালেক মিয়া বলেন, আমরা সারাদিন ইট ভাটায় কাজ করি। অবসর সময় বাড়তি আয়ের জন্য বিকাল বেলা পিঠা বানানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। নতুন চালের গুড়ো ও নতুন খেজুরের গুড় দিয়ে খুব যতœ সহকারে তৈরি করা হয় ভাপা পিঠা। পিঠাকে আরো সুসাদু করার জন্য নারকেল ও গুড় ব্যবহার করা হয়। ভাপা পিঠা ছাড়াও ক্রেতাদের জন্য চিতল (চিতাই) পিঠা তৈরি করা হয়। এসব পিঠা প্রতি পিস ৫ টাকা করে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কেজি পরিমান চালের পিঠা বিক্রি হয়। শীতের চিতল (চিতাই) পিঠার সঙ্গে বাড়তি হিসেবে মরিচ, সরিষা, সুটকি ও ধনেপাতার ভর্তা ফ্রি দেওয়া হয়।

পিঠা তৈরির বিষয় জানতে চাইলে লোকমান মিয়া বলেন, পিঠা তৈরির জন্য একটি পাতিল ও ঢাকনা ব্যবহার করা হয়। জলন্ত চুলার উপর পাতিলে পানি দিয়ে ঢাকনার মাঝখানটা ছিদ্র করে পাত্রের মুখে দিতে হয়। এ সময় ঢাকনার চারপাশে আটা, চালের গুড়া ও কাপড় দিয়ে শক্ত করে মুড়ে দেওয়া হয়। যাতে করে গরম পানির ভাব বের হতে না পারে। পরে ছোট একটি গোল পাত্রের মধ্যে চালের গুড়া, নারকেল ও গুড় মিশিয়ে পাতলা কাপড়ের আবরনে ঢাকনার মুখে রাখা হয়। পানির গরম তাপেই নিমিষেই সিদ্ধ হয়ে যায় নতুন চালের ভাপা পিঠা।

উপজেলার পখীরা গ্রামের একজন পিঠা ক্রেতা শামচুল হক বেপারী বললেন, সব ধরনের ক্রেতা এখানে আসে পিঠা খেতে। আবার কেউ কেউ বাড়িতে ছেলে মেয়েদের জন্য ও পিঠা কিনে নিয়ে যায়। ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে পিঠা খাওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। তাই এখানে সেই স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close