ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

ফুলবাড়ীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে সফল আফজাল হোসেন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীর ওপর ভাসমান খাঁচায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন আফজাল হোসেন (৫২)। ভাসমান মাছ চাষ করে প্রথম বছরেই দুই লাখ টাকা আয় করছেন ধরলা পাড়ের এই মাছ চাষি। ভাসমান মাছ চাষ করে এখন স্বাবলম্বী ও একজন সফল মাছ চাষি হিসাবে পরিচিত লাভ করেছেন আফজাল। তিনি উপজেলার সোনাইকাজী গ্রামের মৃত তেরপু মামুদের ছেলে।

জানা গেছে, সর্বনাশা ধরলা নদীতে সবকিছু বিলীণ হওয়ার পর অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হতো আফজাল হোসেনকে। দেড় বছর আগেই আফজাল হোসেন মাছ চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার এক বছর পর উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে ভাসমান প্রকল্প থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান নিয়ে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে।

শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর উত্তর পাশে ধরলা নদীতে ১৫টি খাঁচায় মাছ চাষ সিবিজি প্রদর্শনী শুরু করেন। । একটি খাঁচায় ৮০০ পিস পোনা মাছ চাষ করা গেলেও তিনি প্রথম পর্যায়ে ৫০০-৬০০ পোনা মাছ চাষ করছেন। তিনি অধিক লাভজনক হওয়ায় তেলাপিয়া ও সর পুটি মাছই বেশি চাষ করছেন। বর্তমানে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের ফলে ফিরে পেয়েছেন সংসারের সচ্ছলতা।

মাছ চাষি আফজাল হোসেন জানান, ধরলা নদীতে ১৫টি ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের শুরুতে একটু দুচিন্তায় ছিলাম। মাস ছয়েক পর দুচিন্তা একেবারে কেটে যায়। এখন মনে হচ্ছে এটি একটি অধিক লাভজনক প্রকল্প। এ বছরে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। খাদ্যসহ বিভিন্ন খরচ মিটিয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হয়েছে। এ বছরেই আরও পাঁচটি খাঁচা বানাবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিঠু জানান, নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ একটি লাভজনক প্রকল্প। এক বছরেই আফজাল হোসেনের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। তিনি এখন সফল মাছ চাষি। অনেকেই ভাসমান প্রকল্প মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাই দুই এক মাসের মধ্যেই নতুন করে চার থেকে পাঁচটি ভাসমান প্রকল্প হয়ে যাবে। আশা করি এ প্রকল্পের মাধ্যমে সংসারের সচ্ছলতা ফিরে আসবে আফজালের মতো আরো অনেকেরই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close