এ আর রাশেদ, ইবি

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

যেখানে-সেখানে ময়লার ভাগাড়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যথাযত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল ফটকের পাশে, অনুষদ ভবনের পেছনে, লালন শাহ হলের পকেট গেট, টিএসসিসি, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও যেখানে সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খাবরের প্যাকেট-উচ্ছিষ্ট, একাডেমিক ভবন ও ল্যাবে ব্যবহারিত জিনিসপত্র, ময়লা-আর্বজনা ফেলা হচ্ছে। এর ফলে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে ময়লা-আর্বজনা ফেলায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুর্গন্ধ সহ্য করেই নিয়মিত যাতায়াত করতে হচ্ছে। ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলায় হলের সামনের পুকুর পাড় পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে সেখানে টেকাই দায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলেন পাশেও ময়লার ভাগাড় তৈরি হয়েছে। হলের পকেট গেটে কর্মচারীদের আবাসিক এলাকার ময়লা ফেলার কারণে একটি ভাগাড় তৈরি হয়েছে। এই ভাগাড়ের দুর্গন্ধ সহ্য করেই প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের বাজারে যাতায়াত করতে হয়। শেখ হাসিনা হলের আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে হল ফটকের পাশে।

এছাড়া টিএসসিসি, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ও মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের পাশে ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে যেখানে-সেখানে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন ক্যাম্পাসের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বায়ুবাহিত রোগগুলো সাধারণত আবর্জনা থেকেই বেশি ছড়ায়। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া এবং আমাশয়ের মতো রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে সহজেই।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি বিষয়টি যথাযত নজরদারিতে রাখতো তাহলে এ ধরনের সমস্যা তৈরি হতো না।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক রবীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হলো অন্যসকল জায়গা থেকে আলাদা একটি পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় এমন পরিবেশ (ময়লার ভাগাড়) কখনোই কাম্য নয়। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি যথাযত নজরদারিতে রাখা।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গ্রিন ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আরো কিছু ডাস্টবিন স্থাপন ও ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি এ সমস্যা আর থাকবে না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close