পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে অপুরণীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অভিভাবক মহল।

জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর সাত দফা দাবীতে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবীগুলোর মধ্যে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষসহ পরবর্তী সকল ব্যাচ সমূহের অডিন্যান্সের আওতাভুক্ত করা, হলের ডাইনিংয়ের খাবার উন্নয়নের জন্য ভর্তূকি প্রদান, ক্লাস রুম ও চেয়ার সংকট দূর করা, পরিবহন সংকট সমাধান, ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই চালু এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা। ওই দিন ভাইস চ্যান্সেলর ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ধাক্কা ধাক্কির মত একটি অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, তিনি (ভিসি) তাদের সঙ্গে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা ছাড়াই রিজেন্ট বোর্ডের সভা করে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ক্যম্পাস অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটসহ নানবিধ সমস্যায় পড়বে বলে ধারণা করছেন অভিভাবকমহল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম তার ফেসবুক স্ট্যটাসে লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের অপুরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় অতি দ্রুত খুলে দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ সকল কাজকর্ম স্বাভাবিক করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সম্পাদক কিসলু নোমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অচলাবস্থা নিরসনের জন্যে দ্রুত কর্তৃপক্ষের সাধারন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে নিরসন করা দরকার। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার ব্যাপারে ভিসি স্যার খুবই আন্তরিক। খুব শীঘ্রই খুলে দেয়া হবে।

"