হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

  ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

নিজেকে বোঝা মনে করেন না বিধবা ও প্রতিবন্ধীরা

সমাজে একসময় বিধবা এবং প্রতিবন্ধীরা ছিল অবহেলার পাত্র। ১৯৯৬ সালে যখন শেখ হাসিনার সরকার বিধবা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার কথা চিন্ত করে ১৯৯৮-৯৯ সালে বিধবা-ভাতা এবং প্রতিবন্ধী-ভাতা যথাক্রমে ১০০ ও ৩০০ চালু করে। যেটি বাস্তবায়ন করে সমাজসেবা অধিদফতর।

শুরুতে সারা দেশে ৪ লাখ ৩ হাজার ১১০ জন মহিলাকে ৪০ কোটি এবং প্রতিবন্ধী ১ কোটি ৪ লাখ মানুষের জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু পরে সরকারের পালাবদলের ফলে এটি নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ে ট্রান্সফার করলে এর কার্যক্রম গতি হারায়।

উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে, ২০০৯ সালে বর্তমান উন্নয়নমুখী সরকার আবার সমাজসেবা অধিদফতরে রেফার করে এবং বরাদ্দ পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা ২০১৮ সালে ১৪ লাখ বিধবাকে ৫০০ হারে ৮৪০ কোটি এবং ১০ লাখ প্রতিবন্ধীকে ৭০০ হারে ৮৪০ কোটি টাকা দেন।

উপজেলায় (২০০৯-১৮) বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতায় মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৭৩৮৯ জন। (২০০৯-২০১৮) অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ৫৮১৩ জন। এছাড়াও প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৭১৫ জন।

বরাদ্দের পরিমাণ বাড়লে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় শতভাগ সফল হয়েছে। এই ভাতা প্রদানের উদ্দেশ্য তাদের সমাজে সম্মানজনক অবস্থান ঠিক করা, মানোবল বাড়ানো, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা করা। মাঠপর্যায়ের জরিপ থেকে জানা যায়, যে তারা আর নিজেদের সমাজের বোঝা মনে করেন না। মানুষ তাদের আর অবহেলা করতে পারে না। শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য। এতে তারা যেমন আত্মসম্মান বা সমাজে সম্মানিত বোঝা মনে করছেন, তেমনি নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন, বিশেষ করে প্রতিবন্ধীরা কিছু করতে পারছেন, তাদের ভিক্ষাবৃত্তি করতে হচ্ছে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close