প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২১ নভেম্বর, ২০১৮

আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ও ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধির পাঠানো খবর-

ফরিদপুর : অন্য যে কোন বছরের তুলনায় ফরিদপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে আমন ধান চাষে উৎপাদনে খরচ কম হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আমন ধানের আবাদ।

জানা গেছে, আমন ধান আবাদের শুরুতেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ জুড়ে পাঁকা ধানের সোনালী শীষ বাতাশে দুলছে। কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে। বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও ধান সিদ্ধ ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চলতি মৌসুমে জেলার ৯টি উপজেলাতে কম-বেশী আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের আবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় আমন ধান উৎপাদনে কৃষকের বাড়তি সেচ এর প্রয়োজন হয়নি। সারও কম লেগেছে। ফলে এক মন ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা। আর বাজারে একমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৯০০ টাকা। ফলে কৃষক আমন ধান উৎপাদন করে লাভবান হয়েছে।

কৃষক বক্তার হোসেন খান বলেন, ধানের ফলন ভাল হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভাল। সরকার যদি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে তাহলে কৃষক বেশী লাভবান হবে, কৃষক ন্যায্য মূল্য পাবে। সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল বাসার মিয়া বলেন, আমন ধান আবাদে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কম হয়। কারণ আমন ধান উৎপাদনের ক্ষেতে কৃষককে বাড়তি সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। সারও কম লাগে। আর সে কারণে আমরা কৃষকদের আমন ধান উৎপাদনে সার ও বীজ প্রনোদনা দিয়ে থাকি। কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭৯৫ হেক্টোর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে বেশী আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে চাষীদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আমন ধানের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। তবে কৃষকের আশঙ্কা ধানের ফলন ভালো হলেও দাম পড়ে যেতে পারে। কৃষকেরা এখন মাঠে ব্যস্ত ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে।

উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। আবাদকৃত ধানের মধ্যে বিনা-৭, ব্রি-৪৯, স্বর্ন, রঞ্জিত, মামুন ধান উল্লেখযোগ্য।

মোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক আজিজ মিয়া জানান, এ বছর এক একর জমিতে আগাম বি-৭ জাতের আমন ধান আবাদ করে আশানুরুপ ফলন পেয়েছেন।

বালিঘাটা গ্রামের কৃষক নাজিম চৌধুরী জানান, হাটে বিভিন্ন জাতের আমন ধান উঠেছে। ৬৫০-৭০০ টাকা দরে বেঁচাকেনা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা কৃষকের সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close