একেএম মজাহারুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম)

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

কুড়িগ্রাম-৩

আ.লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি বিএনপি ও জাপা নির্ভার

একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে, সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে। উপজেলা শহর, ইউনিয়নের হাটবাজার থেকে গ্রামÑগ্রামান্ত ভোটের আলোচনায় মূখরিত হয়ে উঠেছে। পছন্দের দল ও প্রার্থীকে জেতাতে চুলছেড়া বিশ্লেষণ করছেন ভোটাররা। তবে জোট-মহাজোটের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে ভোটারদের সে সম্ভাবনা।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সম্প্রতি উপ-নির্বাচনে আসনটিতে জিতে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। অল্প সময়ে নানা মুখি উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রস্তুতিসহ উপজেলায় আধুনিক সেবা দেয়ার ঘোষনায় আবারও চমক দেখাতে পারেন তিনি। এদিকে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী এ উপজেলায়, তারা জাপা’র দূর্গ ভাঙ্গতে মরিয়া। এছাড়া বর্তমানে এ আসনে জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী হিসেবে তিতাস গ্যাসের সাবেক মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনজুরুল হক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাসতবায়নে সাইকেল মার্কায় বিজয় ছিনিয়ে নিতে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় জামায়াত ও বাম দলের প্রার্থী’র ব্যক্তি ইমেজও অনেকটা নির্ভর করবে ভোটে জয়-পরাজয়ের হিসেব-নিকাশে। উপজেলা শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটের মোড়ে মোড়ে প্রার্থীদের দলীয় কর্মীদের চলছে উঠান বৈঠক, খুলী বৈঠক। জাতীয় পার্টির দূর্গ-খ্যাত কুড়িগ্রাম-৩ আসনটি দখলে নিতে মরিয়া বিএনপি, ছাড় দিতে নারাজ আ.লীগ। ট্রাম করতে চাচ্ছে জাতীয় পার্টি (জেপি)। ’৭৫-এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু স্ব-পরিবারে হত্যার পর থেকে এই আসনটি বিএনপি, দখলে চলে যায়। এরপর রাজনীতির পালা বদলে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ.এম এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর জাতীয় পার্টির দখলে আসে এ আসনটি। দীর্ঘদিন পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন উপজেলা আ.লীগ সম্পাদক আমজাদ হোসেন তালুকদার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ’৯৬ সালের নির্বাচনে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ.এম. এরশাদ নির্বাচিত হয়ে আসন ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে তাঁর ছোট ভাই মোজাম্মেল হক লালু নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের জাপা প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মতিউর রহমান নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের জাতীয সংসদ নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী এ.কে.এম. মাঈদুল ইসলাম বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে মহাজোট প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারি মাঈদুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হণ। মাঈদুল ইসলামের মৃত্যুতে এ আসনটি শূণ্য হলে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাইয়ের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অধ্যাপক ডা. আক্কাছ আলী সরকার বিজয়ী হন। এসব নির্বাচনে আ.লীগের দলীয় প্রার্থীদের পরাজয়ের মূল কারণ ছিল দলীয় কোন্দল। সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামÑ৩ (উলিপুর) আসনে লড়াইটা হবে ত্রিমূখী। দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী জিততে না পারায় উপজেলাটি উন্নয়ন বঞ্চিত হয়। এবারের নির্বাচনেও আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সবচেয়ে বেশী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close