একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ (বাঘাপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে আ.লীগের ১৯ জন নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিরও পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই আসনটি। নিজ দলের নাকি জোটের শরিক দলের প্রার্থী চূড়ান্ত হচ্ছে, সেটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে আলোচনা যায় হোক, আ.লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটিতে জিতে আসতে পারবে এমন প্রার্থীর খোঁজে দলটি। শক্ত প্রতিপক্ষকে মোকাবেলায় যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে রয়েছে দলের হাইকমান্ড। সেই বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে সেটি দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে আরো কয়েকটা দিন।

জানা যায়, যশোরের একটি আসনে ভাগ বসাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি। শরিকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে যশোর-৪ আসন। ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসন ছাড়তে নারাজ আওয়ামী লীগও। এরই মধ্যে আ.লীগের ১৯ জন দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছেন। এরা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়, সাবেক হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব, অভয়নগর উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক এনামুল হক বাবুল, জেলা আ.লীগের সদস্য নাজমুল ইসলাম কাজল, কৃষকলীগ নেতা আমজাদ হোসেন, সরদার ওলিয়ার রহমান, ফরিদ জাহাঙ্গীর, সোলাইমান হোসেন, আলমগীর হাসান রাজিব, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রশিদ স্বপন, জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব ইফতেখার, বিভাষচন্দ্র বিশ্বাস, এসএম জাকির, আব্দুল কবির খান, মোহিত কুমার নাথ, নুরজাহান ইসলাম নিরা, লাইজু জামান, রকিবুল আনোয়ার ও নওয়াপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর রবিন অধিকারী ব্যাচা।

আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক এমপিসহ জনপ্রিয় নেতাদের পাশাপাশি নতুন মুখও আছেন মনোনয়ন প্রত্যাশায়। তবে এবার দলের প্রার্থী নাকি শরিকের ভাগে পড়ছে আসনটি, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে ভোটের রাজনীতিতে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি ছাড় দিতে নারাজ। জেলা জাতীয় পার্টির সম্পাদক এ্যাড. জহুরুল হক জহির প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। জাতীয় পার্টির একশ আসনের তালিকায় রয়েছে এই আসনটি। বসে নেই ওয়ার্কার্স পার্টিও। মহাজোটের শরিক দল হিসেবে যশোরের একটি আসন তারা দাবি করেছে। সেটি যশোর-৪ আসন। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মহাজোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ও পলিটব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘১৪ দলের কাছে যশোরের একটি আসন দাবি করেছি। আশা করি আমরা ওই আসন পাবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘উইনেবল প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে।’ বাঘারপাড়া-অভয়নগরের বাস্তবতায় ওয়ার্কার্স পার্টিকে আসনটি দিলে বিজয় উপহার দিতে পারবো।জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী বলেন, মহাজোটের কাছে একটাই দাবি, যশোর-৪ আসন আমাদেরকে দিতে হবে। জেলা জাতীয় পার্টির সম্পাদক এ্যাড. জহুরুল হক জহির দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন। গত ১০ বছর ধরে আমরা এই আসনটি দাবি করছি। আশা করছি এবার আমরা পাবো।

"