আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

বরগুনা-১

আ.লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে দেলওয়ার হোসেন

বরগুনা-১ আসনে আ.লীগের মনোনায়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এরশাদের শাসনামল এবং ১৯৯৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় নির্বাচন ব্যতীত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই এ আসন থেকে জয় লাভ করেছে আ.লীগ। আর এ কারণেই দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ হিসেবে আখ্যা পেয়েছে বরগুনা-১ আসন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চারবারের নির্বাচিত এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বরগুনা-১ আসন আবারও রেকর্ড গড়েছে আ.লীগের মনোনয়নপত্র ক্রয়ে। দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে এ আসনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন।

মনোনায়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সভাপতি এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা আ.লীগের সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, ২০০১ সালের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান, জেলা আ.লীগের সহসভাপতি হুমায়ূন কবীর, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মো. সিদ্দিকুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা সোহেলী পারভিন মনি, আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম দেলোয়ার হোসেন, আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম তালুকদারের স্ত্রী জাকিয়া এলিচ, সাবেক এমপি মরহুম মজিবুর রহমান তালুকদারের ছেলে মামুদুর রহমান নিরু, চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদলসহ ৫২ জন।

দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে বর্তমান সংসদ সদস্য চারবারের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

এ আসনের মনোনায়ন প্রত্যাশী অনেক নেতাই সাবেক সাংসদ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ছাড়া কারও নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার মত জনপ্রিয়তা নাই বলে জানান। জেলার সকলের কাছে যোগ্য ও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এগিয়ে দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও বিএনপির যদি সাবেক সংসদ মতিয়ার রহমান তালুকদারকে মনোনায়ন দেয় তাহলে ভোটের মাঠে কঠিন সমস্যায় পরতে হবে আ.লীগকে। সেক্ষেত্রে আ.লীগের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন মনোনয়ন পেলে সে হিসাব পাল্টে যাবে। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে যে আন্দোলন হয়েছিলো তাতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও এক বার এমপি হিসেবে জনপ্রতিনিধি থাকলেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন আচড় লাগাতে পারেন নি। জনমত জরিপেও তিনি এগিয়ে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি সংস্থা। সব দিক বিবেচনায় নৌকার মাঝি হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বাধিক এগিয়ে দেলোয়ার হোসেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close