আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

বরগুনা-১

জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেতে গণসংযোগে খলিলুর রহমান

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করতে গণসংযোগ করছেন মো. খলিলুর রহমান। তিনি তালতলী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। একসময় এই এলাকা জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত দুটি নির্বাচনে মহাজোটের হয়ে নির্বাচন করার কারণে জাতীয় পার্টি অনেকটা পিছিয়ে। তাই পুরনো জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এ আসনটি ফিরে পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনের একটি অংশে (আমতলী-তালতলী) তৎকালীন বরগুনা-৩ আসনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার। ওই সময় বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে পরবর্তীতে উপনির্বাচনে মতিয়ার রহমান তালুকদার বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। এর আগে তৎকালীন বরগুনা-১ (সদর-বেতাগী) আসনে প্রয়াত জাফরুল হাসান ফরহাদ এবং বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসনে মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার জাতীয় পার্টির হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৮ সালে বরগুনার তিনটি আসন ভেঙে দুটি আসনে রূপান্তরিত করার পর বরগুনা-১ আসনে মহাজোটের হয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করে আসছে। যার ফলে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম বর্তমানে অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দাবি এ আসনে মহাজোটের অধীনে তাদের প্রার্থী দেওয়া হলে হারিয়ে যাওয়া আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মনে করেন, এ আসনে আওয়ামী লীগের যে দলীয় কোন্দল রয়েছে, তা নিরসন না হলে তাদের প্রার্থী জয়লাভ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। তাই এ আসনে জাতীয় পার্টির মধ্যে আওয়ামী লীগের তুলনায় দলীয় কোন্দল অনেকটা কম।

সে ক্ষেত্রে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে জয়লাভ করা সম্ভব হবে। তালতলী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি মো. আল-আমীন বলেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কমে গেছে। তাই জাতীয় পার্টিকে এ আসনে মনোনয়ন দিলে জয়লাভ করা খুবই সহজ হবে।’ জাপা (এরশাদ) প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন আমতলী-তালতলী দুই উপজেলা নিয়ে একটি উপজেলা ছিল, তখন উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার ভোট পেয়েছি। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে তালতলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা রয়েছে। তাই আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আশা করি এ আসনের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close