মোর্শেদ নয়ন, পটিয়া-কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)

  ১৬ নভেম্বর, ২০১৮

৩৫০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পে বদলে যাবে কর্ণফুলী উপজেলা

চট্টগ্রামের নবগঠিত উপজেলা কর্ণফুলীকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পে সর্বাধুনিক উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। অনুমোদন পাওয়া এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে পুরো উপজেলার চিত্র।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পিআইবি সড়কের শিকলবাহা ওয়াই জংশনের কাছেই ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ একর জায়গার ওপর কর্ণফুলী উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হবে। সড়কের পশ্চিম পাশে ৫ একর জায়গার ওপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সঙ্গে লাগানো আরেকটি ভবনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও অডিটরিয়াম, কাছাকাছি আরেকটি ভবনে আধুনিক ডিজিটাল সেন্টার হবে। এছাড়াও ৩ একক জমির ওপর কারিগরি স্কুল ও কলেজ (টিএসসি), ১ একর জায়গার ওপর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মিত হবে। সিডিএ আবাসিক এলাকার পাশে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার মডেল মসজিদ এবং ইসলামি রিসোর্স সেন্টার নির্মিত হবে। মইজ্জারটেক থেকে ডাঙারচরঘাট পর্যন্ত দোনারখালে সেতুসহ মডেল সড়ক নির্মাণ হবে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের খালগুলো পুনঃখনন করা হবে। খালের মুখে পানি নিয়ন্ত্রণের রেগুলেটার বসানো হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে উপজেলার চারপাশে ১৬ কিলোমিটার এলাকায় নদী এবং খালের পাড়ে ব্লক বসানো হবে। গাইড ওয়াল ও ব্লক বসানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যয় হবে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা কমপ্লেক্সের জন্য জমি অধিগ্রহণের অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। অধিগ্রহণ শেষ হলে আগামী বছরের শুরুতে বাকি প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ হবে এবং এসব প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’

এর আগে ২০১৬ সালে ৯ মে পটিয়ার ৫টি ইউনিয়ন ( চরলক্ষ্যা, জুলধা, চরপাথরঘাটা, বড়উঠান ও শিকলবাহা) নিয়ে দেশের ৪৯০তম উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৭ সালের ২৯ এপ্রিল কর্ণফুলী উপজেলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফারুক চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী আরো জানান, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী আলাদা কর্ণফুলী উপজেলা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁরই অবর্তমানে সুযোগ্যপুত্র ভূমি প্রতিন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি কর্ণফুলীকে উপজেলা বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। উপজেলা কমপ্লেক্স ও অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নেও তিনি সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে কর্ণফুলীবাসীর দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হবে।

আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘উপজেলা এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিয়েছে। কর্ণফুলীতে এখন নানা প্রশাসনিক জটিলতার অবসান হয়েছে। মেগা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে কর্ণফুলী হবে দেশের সবচেয়ে আধুনিক উপজেলা।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close