বরগুনা প্রতিনিধি

  ১২ নভেম্বর, ২০১৮

৯৫ বছর বয়সেও বয়স্কভাতা পাননি হালিমা!

বয়স ৯৫ বছর, আর কত হলে তিনি বয়স্কভাতা পাবেন এমন প্রশ্ন হালিমা খাতুনের। বৃদ্ধ বিধবা হালিমা খাতুন নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন। হতদরিদ্র সহায় সম্বলহীন হালিমা বয়স্কভাতা এবং বিধবাভাতা কোনোটাই পান না। শীর্ণ শরীর নিয়ে তিনি আজ শয্যাশায়ী। তাকে দেখার মতো কেউ নেই। বরগুনা সদর উপজেলার ২ নং গৌরিচন্না ইউনিয়নের পশ্চিম ধূপতি গ্রামে হালিমার বাড়ি। তিনি মৃত ওসমান হাওলাদারের স্ত্রী। ২০০২ সালে তার স্বামী মারা যান। ৫ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তান নিয়ে তার পরিবার। কন্যারা বড়। সবার ছোট পুত্র নান্টু (৫০) ও সেন্টু (৬০) দিনমজুরের কাজ করেন। তারা এতই দরিদ্র ও রোগগ্রস্ত যে, তাদেরই বয়স্কভাতা প্রয়োজন। তারা ১ একর জমির মালিক থাকলেও ছোট পুত্র নান্টুর মেয়ের হত্যা মামলা চালাতে গিয়ে পরিবারটি সর্বস্বান্ত। হালিমার পুত্র সেন্টু হাওলাদার জানান, তিনি আ.লীগের জেলা শাখার প্রাথমিক সদস্য। তার মা ভাতা না পাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আজ আমার মা বয়স্কভাতা ও বিধবাভাতা কোনোটাই পান না। ইউনিয়ন পরিষদে অনেক ধরনা ধরেছি, কোনো কাজ হয়নি। তারা ভাতা দেবে না। জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক খন্দকার গোলাম সরোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নীতিমালায় প্রধান ক্যাটাগরি মূলত মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬২ বছর ও দরিদ্র হতে হবে; তাহলে তারা এ সুবিধার আওতায় আসবে। তবে দরিদ্র হালিমা বয়স্ক ও বিধবাভাতার সুবিধার আওতায় কেন আসেননি এ প্রশ্নের জবাব সমাজের কাছে থেকেই গেল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close