লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
লোহাগাড়ায় আধুনগর পাগলীরছড়া ব্রিজে ভাঙন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে কালিরহাট সড়কের পাগলীরছড়া ব্রিজ হুমকির মুখে পড়েছে। সংস্কারের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আধুনগর খানহাট বাজার থেকে রশিদারঘোনা ও বড়হাতিয়া তিন পথের মাথা যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম সড়কটি। ইতোমধ্যে ব্রিজটি ভাঙতে শুরু করেছে।
দীর্ঘ ৫ দশকের পুরনো এ ব্রিজ ভেঙে যাওয়াতে বিপাকে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে ব্রিজটি দিয়ে। হাজার হাজার লোকের যাতায়াত। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। চলছে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষা। সামনে পিএসপি, এসএসসি/দাখিল, এইসএসসি/আলিম ও সমমানের পরীক্ষা। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়াতে বড়হাতিয়া ও আধুনগরসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের চুনতি বাজার হতে লোহাগাড়া সদরে কেন্দ্র আসতে হবে। তাদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটির মধ্যম অংশে প্রায় টুকরো টুকরো ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। ভাঙনের অংশ দিন দিন বড় হচ্ছে। ব্রিজটি দিয়ে বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল ছাড়া আর কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের কোনো উদ্যোগ নেই। ভাঙনের শুরুতে উদ্যোগ নিলে কোনো মতে রক্ষা করা যেত ব্রিজটি।
স্থানীয় আনিসুল মোস্তফা বলেন, ‘ব্রিজটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, সড়ক ও ব্রিজ আধুনগর ও বড়হাতিয়া দুই ইউনিয়নের সীমান্ত। এ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য লোহাগাড়া সদরের যাওয়ার জন্য সড়ক ও ব্রিজটি একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম।
এদিকে আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব মিয়া বলেন, ‘ব্রিজটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।’ আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, গত সপ্তাহে ব্রিজটির ভাঙা অংশে পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত হন। উপজেলা প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ান জানান, সরেজমিনে ব্রিজটি দেখে সংস্কারে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
"