কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৫ নভেম্বর, ২০১৮

কাশিয়ানীর কালনা ফেরিঘাট

পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর মধুমতি নদীর কালনা ফেরী ঘাটে যানবাহন চলাচলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ফেরী পারাপারে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার দুই থেকে তিনগুন বেশি টাকা ঘাট মালিকরা আদায় করছে বলে যানবাহন চালকরা অভিযোগ করেছেন। মধুমতি নদীর গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা ও নড়াইল জেলার লোহগড়া উপজেলার কলনা পয়েন্টে এ ফেরী ঘাটের অবস্থান।

ঘাটে সিরিয়ালের নামে অবৈধভাবে গাড়ি থেকে টাকা নেয়া হয় বলেও চালকরা জানান। এছাড়া কালনা ঘটে মধুমতি নদী পারাপারে যাত্রী প্রতি ৬ টাকা থেকে ৮ টাকা আদায় করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যানবাহন ও সাধারন যাত্রীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোন রশিদ দেয়া হচ্ছে না।

প্রতিদিন এ ফেরী ঘাটে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক’শ যানবাহন ও হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে। যানবাহন ও যাত্রীদের জিম্মি করেই প্রতিদিন হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, ঠিকাদার এ.কে.এম মঞ্জুর হাসান ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকায় কালনা ফেরীঘাট চলতি বছর থেকে ৩ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছে। গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ট্রেইলার পারাপারে ভাড়া নির্ধারণ করে ফেরীঘাটে তালিকা টানিয়ে দিয়েছে। নড়াইলের বাস চালক মো. রানা বলেন, ‘আমাদের ৫২ সিটের বাস পারাপারে ফেরীর আদায়কারীরা ২১০ টাকা নিয়েছে। কোন রশিদ দেয়নি। এছাড়া সিরিয়ালের জন্য নড়াইল জেলার লোহগড়া উপজেলার কালনা পাড়ে আমার কাছ থেকে ৩০ টাকা নেয়া হয়েছে। এখানে ফেরী ভাড়ার সরকারি তালিকা অনুসরণ করা হয়না। মাত্রাতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। ঘাট মালিক ও আদায়কারীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী তাই তারা যা খুশি তাই আদায় করছে।’ নড়াইলের লক্ষীপাশা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘাটে জনপ্রতি ঘাট মালিক তিন টাকা আদায় করেন। এ তিন টাকা নিয়ে ঘাট মালিকের নৌকায় ঘাট পার করে দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ঘাট মালিকের ঘাটে কোন নৌকা নেই। পারের জন্য মধুমতি নদীর মাঝির নৌকায় আরো ৩ থেকে ৫ টাকা গুনতে হয়। এ নদী পার হতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়।’ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কালনা ঘাটের আদায়কারী আঞ্জু মিয়া বলেন, ‘ঘাট মালিক যেভাবে টাকা আদায় করতে বলে, আমরা সে ভাবেই করি। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। আমরা ঘাট মালিকের চাকর মাত্র।’ ঘাট মালিক এ.কে.এম মঞ্জুর হাসান ফেরী ও খেয়া পারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের অনেক যানবাহন এবং যাত্রীকে ফ্রি পারাপার করতে হয়। এটি পুষিয়ে নিতে কখনো কখনো সামান্য বেশি ভাড়া আদায় করা হয়। দুই থেকে তিনগুন ভাড়া আদায়ের অভিযোগ সত্য নয়। এখন থেকে ফেরী পারাপারে রশিদ দেয়া হবে। নড়াইল পাড়ে সিরিয়ালের টাকা নেয়া হয়। ওদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।’ গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খো. মো. শরিফুল আলম বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close