বাগেরহাট প্রতিনিধি

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

মোরেলগঞ্জে দ্বিতীয় দফায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ

প্রতিবার ভয় দেখিয়ে ধামাচাপার চেষ্টা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী দ্বিতীয় দফা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। প্রতিবারই ছাত্রীর পরিবারকে নানা প্রকার হুমকি প্রদান ও ভয় দেখিয়ে ঘটনা ঘামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে অভিযুক্তরা।

এ ঘটনায় গত রোবাবর শিশুটির মা বাদি হয়ে মিজান (৩৮) ও জাহাদুলকে (২০) আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। ওই দিন রাতে অভিযান চালিয়ে মিজান মিয়াকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত মিজান ও জাহাদুল উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বারুইখালী গ্রামের লামমিয়ার ছেলে। সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বারুইখালী গ্রামে ঘটে। আক্রান্ত শিশুটি এখন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শিশুটির মা প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, গেল ১৫ রমজান ও ৬ অক্টোবর দুই দফায় ধর্ষনের শিকার হয় আমার মেয়ে। গত ১৫ রমজান দুপুরে স্থানীয় বারুইখালী বাজার থেকে আসার পথে জাহাদুল মেয়েটিকে মুখ চেপে জনৈক খোকনের ঘেরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছাইদুল শালিস মীমাংসার কথা বলে জাহিদুলকে মারধর করেন। লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি নিয়ে আর কোথাও অভিযোগ করি নাই।

এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাজার থেকে আসার পথে জাহাদুলের বড় ভাই মিজান শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আবারো ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানাইনি। কিন্তু গত রোববার সকালে আমার মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমরা খুবই অসহায় আমার মেয়ের উপর অত্যাচারের বিচার চাই।

জানতে চাইলে ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘গত রোববার বিষয়টি জানতে পেরে নির্যাতিতার মাকে থানায় আসার অনুরোধ করি। পরে রাত ১১ টার দিকে তিনি থানায় এসে ২ জনকে আসামী করে মামলা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মিজানকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান তার ছোট ভাইয়ের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। জাহাদুলকেও আটকের চেষ্টা চলছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close