ভোলা প্রতিনিধি

  ২০ অক্টোবর, ২০১৮

প্রজনন মৌসুমে ইলিশশূন্য বাজার

ভোলায় বিক্রি হচ্ছে চাষ করা পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া

‘কত দিন আর শাকসবজি, ডিম, মাংস খেয়ে থাকা যায়। তাই পাঁচ কেজির একটি পাঙ্গাশ মাছ কিনলাম’

ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২২ দিনের প্রজনন মৌসুম চলছে। জেলার সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইলিশসহ নদী ও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ভোলার বাজারে এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভরসা হয়ে উঠেছে ঘেরের পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়াসহ অন্যান্য মাছ। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময় ইলিশ শিকার করার অপরাধে ইতোমধ্যে জেলার কয়েক জায়গায় নদী থেকে জেলেদের আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জেলার ইলিশা জংশন, তুলাতুলি বাজার ঘাট, নাছির মাঝি, রতনপুর বাজার ঘাট, ভেদুরিয়া ফেরি ঘাট, ভেলুমিয়া ঘাটগুলো বর্তমানে জনমানুষশূন্য রয়েছে। নেই মাছ বিক্রির হাক-ডাক। সরকার অভিযান চলাকালীন সময়ের মধ্যে সব ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাগর ও নদীর ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ বাজারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না। আর হাট বাজারগুলোতে নদ-নদী ও সাগরের মাছের সরবরাহ না থাকায় ক্রেতাদের একমাত্র ভরসা ঘেরের চাষকৃত পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, রুই কাতলা ও পূর্বে হিয়ায়িত থাকা লৈটাসহ অন্যান্য মাছ। ক্রেতা রফিক উদ্দিন জানান কতদিন আর শাকসবজি, ডিম, মাংশ খেয়ে থাকা যায়। তাই পাঁচ কেজির একটি পাঙ্গাশ মাছ কিনলাম। অনেকে আবার কিনছেন তেলাপিয়া, রুই ও কাতলা।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হওয়ায় ঘেরের পাঙ্গাশ, তেলাপিয়াসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close