গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

  ১৭ অক্টোবর, ২০১৮

এক যুগ ধরে সড়ক দখল করে বালুর ব্যবসা, দুর্ভোগ-দুর্ঘটনা

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর শহরের প্রধান সড়ক ও নন্দকুঁজা নদীর পার দখল করে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা গড়ে উঠেছে। পৌর শহরের চাঁচকৈড় কাছারিপাড়ায় আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি সড়ক দখল করে এ ব্যবসা গড়ে তুললেও পৌর কর্তৃক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একই সঙ্গে বালু লোড-আনলোডের সময় তৈরি হচ্ছে যানজট। প্রধান সড়ক ঘেঁষে বালুর ব্যবসা গড়ে ওঠায় চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়ছেন পথচারীরা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গুরুদাসপুর পৌরসভার প্রধান সড়কের চাঁচকৈড় কাছারিপাড়া মোড়ের মসজিদের পাশে নন্দকুঁজা নদীর পারে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে বালুর স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে প্রধান সড়কের বেশ কিছু এলাকা এবং নন্দকুঁজা নদীর পার অবৈধ দখলে চলে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আফজাল হোসেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে বালু এনে সেখানে রেখে বিক্রি করছেন। সড়কের পাশঘেঁষে বালু রাখার কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় বালু উড়ে এসে পথচারীদের চোখে আটকে যায়। আশপাশের বাসাবাড়িতে বালু উড়ে গিয়ে বিছানা, আসবাবপত্র নষ্ট করছে। বিষয়টি নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এ পথে চলাচলকারী কয়েকজন অটোভ্যান ও সিএনজিচালক জানালেন, এমনিতেই সড়কটি অপেক্ষাকৃত সংকুচিত। তার ওপর সড়কের পাশঘেঁষে বালু রেখে ব্যবসা করার কারণে বছরজুড়েই দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। বিশেষ করে ট্রাকের বালু লোড-আনলোডের সময় তীব্র যানজটে পড়ে তারা। গুরুদাসপুর চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ জন রোগী চোখে বালু আটকে যাওয়ার ঘটনায় চিকিৎসা নিতে আসেন। সড়কের পাশে বালু রাখা চোখের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

বালু ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন দাবি করেন, ঢাকা শহরেও সড়কে বালু রেখে বিক্রি করা হয়। তিনি করলে দোষের কী? তবে পথচারীদের সুবিধার জন্য মাঝেমধ্যে বালুতে পানি ছিটিয়ে রাখা হচ্ছে। এতে পথচারী ও আশপাশের বাসিন্দাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা মুঠোফোনে বলেন, বালু ব্যবসায়ী আফজাল হোসেনকে একাধিকবার মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close