আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

বরগুনা আ.লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন জেলা পরিষদ চেয়াম্যান

বরগুনা (আমতলী-তালতলী) সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ মো. দেলোয়ার হোসেন অবিরাম গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন কোন না কোন এলাকায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে মতবিনিময় ও সরকারের সাফল্য তুলে ধরছেন।

২০০১ সালে আ.লীগ তখন বিরোধী দলে। জাতীয় সংসদে আ.লীগ যাচ্ছে না। সে সময় সংসদে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষন ও প্রদর্শন আইন বাতিলের জন্য তৎকালীন বিএনপি সরকার জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করে। সেদিন সংসদে স্বতন্ত্র এমপি হয়েও এ বিলের বিরোধিতা করে সংসদে কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ ও ওয়াকআউট করেছিলেন দেলোয়ার হোসেন।

১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে জাতীর জনককে হত্যা করার পর সারা দেশের মধ্যে বরগুনাতে প্রথম প্রতিবাদ এবং আন্দোলন হয়, সে সময়েও অগ্রজ নেতাদের সঙ্গে বরগুনায় তিনি আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন। এর আগে ১৯৭১ সালে সদ্য কৈশোর পেরুনো দেলোয়ার অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধ করেন তিনি।

রাজনৈতিক কারনে অনেকেই বিরোধিতা করেন, কিংবা দেলোয়ার হোসেন অনেকের বিরোধিতা করেন তবে দল ও মত নির্বিশেষে জেলার মধ্যে সবচেয়ে নির্লোভ নেতা হচ্ছেন দেলোয়ার বলে মন্তব্য করেছেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আ. মোতালিব। তিনি জানান, বরগুনা-১ আসনকে নিজেদের ঘাঁটি করতে তৎকালীন স্বতন্ত্র এমপি দেলোয়ারকে বিএনপি সরকার নানা বড় বড় প্রলোভন দেখালেও তিনি তা ফিরিয়ে দিয়ে আ.লীগে ফিরে আসেন এবং রাজপ্রথ আন্দোলনে সাথী হন।

বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নিবেদিত কর্মী হিসেবে বরগুনায় যে কয়জন রাজনীতিক নিরলস কাজ করছেন তাদের মধ্যে মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম সারির নেতা। তিনি নিউক্লিয়াসের মতো জেলার আ.লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের দৃঢ় বলয়ে ধরে রেখেছেন।

তিনি ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে গণঅভ্যুথানে অংশগ্রহন করেন। এখান থেকেই তার রাজনীতির শুরু। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পরে তৎকালীন এসডিও সিরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ ও আন্দেলনের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ১৯৭৭-১৯৮১ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২৭ বছর বয়সে ১৯৮৩ সালে জনগনের রায়ে নির্বাচিত হন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় সন্ত্রাস দমনে সফল চেয়ারম্যান হিসাবে সরকার তাকে রাষ্টীয় পুরস্কার প্রদান করে।

১৯৯০ সনে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে বিপুল ভোটে দক্ষিাণাঞ্চালের একমাত্র আ.লীগ দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাবেক উপমন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভুকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। পরে দলে ফিরে সে সময়ে দেশের ৪৬ জন আওয়ামী এমপির একজন হন তিনি। স্থানীয় রাজনীতির নোংরা কূটকৌশলে দীর্ঘদিন অবমূল্যায়িত হওয়ার পর ২০১৭ সালে আ.লীগ সভানেত্রী দলীয়ভাবে তাকে জেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিলে সারা দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমান ভোট পেয়ে তিনি জেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে তার ভুমিকা সম্পর্কে দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, জনগন আমাকে অনেক আসনে বসার সুযোগ করে দিয়েছে। অর্পিত দায়িত্বে অবহেলা করিনি কখনো। চাপ সয়েছি। মানবেতর জীবন পার করেছি। ২০১৯ সালে মনোনয়ন পেলে এ জেলার মানুষের জন্যই শুধু কাজ করবো। নিজের চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই। আমি চাই বরগুনার মানুষকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা আমাদের যোগ্য আভিভাবক, তার নির্দেশ মেনে নিলেই দেশ ও দশের সবারই মঙ্গল। তাতেই বাস্তবায়ন হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close