গাজী শাহাদত ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের হাতে নিহতদের শহীদ মর্যাদা দাবি
সিরাজগঞ্জে গণহত্যা অনুসন্ধান কমিটি
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ও দোসরদের হাতে নিহত শহীদের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সিরাজগঞ্জে গণহত্যা অনুসন্ধান কমিটির উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে জেলা শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এক বিশাল র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। সমাবেশে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৭১’র এ গণহত্যার শিকার ও শহীদ পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অনুসন্ধ্যান কমিটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৭১ এ স্বজন হারানোর ব্যাথা আমরা আজও ভুলিনি। গণহত্যার শিকার তৎকালীন সিরাজগঞ্জ মহুকমা প্রশাসক শহীদ সামসুদ্দিনের ছোট ভাই টাঙ্গাইল থেকে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম তার শহীদ ভাইকে পাক হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদান ও পারিবারের অন্যদের নির্যাতনের বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ ছাড়াও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রবীর শিকদার শহীদ আহসান হাবিবের ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন মাখনও কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তরা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ও দোসরদের হাতে নিহতদের শহীদের মর্যাদা দেয়ার দাবি জানিয়ে গণহত্যা অনুসন্ধান কমিটির নেতারা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিবাচক চর্চার জন্য সরকারের কাছে তারা ৮ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন এবং তা বাস্তবায়নের দাবি জানান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী কবির হয়দার মনজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জুলফিকার আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শুকুমার চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা জগলু চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন, পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের কমান্ডার ইন চিফ গাজী সোহরাব আলী সরকার, ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সূর্য্য, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই তালুকদার প্রমুখ।
"