মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ০৮ অক্টোবর, ২০১৮

মুরাদনগরে ব্রিজের অভাবে ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে তৈরি ভেলাই দুই ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের ভরসা

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধৈইর পূর্ব ইউনিয়নের ইষ্ট্র গ্রাম-নবীয়াবাদ সড়কের খোষঘর পশ্চিম পাড়ায় জিয়ার খালে ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন স্থানিয়রা। ব্রীজ না থাকায় চরম দুর্ভোগে রয়েছে পূর্বধইর পূর্ব ও পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের দশ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। খাল পারাপারের জন্য বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে তৈরী ভেলাই একমাত্র ভরসা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেলায় পারাপারের সময় পানিতে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহাণির মতো ঘটনা।

খালটির ওপর একটি ব্রীজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহু আবেদন করা হলে বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানিয়রা। এ পথে প্রতিদিন যাতায়াত করেন প্রায় তিন সহ¯্রাধিক লোক। ব্রীজ?টি নির্মান করা হলে পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান। যাতায়াতে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে বলে আশা স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, যুগ যুগ ধরে কখনো নৌকা, কখনো বাঁশের সাঁকু দিয়ে খালটি পার হচ্ছেন উপজেলার খোশঘর, হিরাপুর, কোরবানপুর, জানঘর, নবীয়াবাদ, হাঁটাশ, মালিপাড়া, খৈয়াখালী, দৌলতপুর, চাপুড় গ্রামের মানুষ। দুই ইউনিয়নের মধ্যে স্থলপথে যোগাযোগ করতে হলে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে আসতে হয়। জিয়ার খালটি দুই ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় খালের দুই পাশের ১০টি গ্রামের প্রায় লক্ষাদিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার এবং বাঙ্গরা বাজার থানা সদরে আসতে হচ্ছে। এলাকার কোরবানপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয়, কোরবানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীয়াবাদ ফাজিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের। এমন ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কোমলমতি শিশু-কিশোর, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে ভেলায় করে দিনের পর দিন চলাচল করতে হচ্ছে। কখনো পা ফসকে বই-খাতা পড়ে যায় খালে, আবার অনেকে আহত হয়ে ভয়ে লেখা-পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দিকে নজর দিবে। এ অবস্থায় খালের ওপর ব্রীজ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত পারাপারের জন্য প্রশাসনের কাছে একটি নৌকার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

কলেজ পড়–য়া ছাত্র ইমন মিয়া জানান, খালের জন্য আমাদের কয়েকটি গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ভয়ে ভয়ে পার হতে হয়। ৫-৬ জনের বেশি লোক ভেলায় উঠলে টলমল করতে করতে প্রায় সময় লোকজনসহ ভেলাটি উল্টে যায়।

পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি জিয়ার খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের। আমি অনেক বার এমপি-মন্ত্রীর কাছে গিয়েও বরাদ্দ পাইনি। সেতুটি নির্মিত হলে দশ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কমবে। উন্নত হবে জীবনমান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close