ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
গফরগাঁওয়ে কাঠের নড়বড়ে সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে রসুলপুর ইউনিয়নের সান্দিয়াইন গ্রামের শীলা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন ওই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।
নড়বড়ে এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও হাট বাজারের শত শত মানুষ পারাপার করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সূত্র জানা যায়, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রসুলপুর ইউনিয়নে ১৯০ ফুট দীর্ঘ ও ৮ ফুট প্রস্থ কাঠের সেতুটি নির্মিন করা হয়। নির্মাণের তিন বছর অধিক হলেও আর সংস্কার হয়নি। এখন এঠিতে ধ্বস দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় রসুলপুর ইউনিয়নের সান্দিয়াইন, পাড়া সান্দিয়াইন, রসুলপুর, ছয়ানী রসুলপুর, নামা লক্ষনপুর, বাড়া ও চিলাকান্দা গ্রামের মানুষ এই সেতুটি দিয়ে চলাচল করে থাকেন। এছাড়াও স্থানীয় সান্দিয়াইন ও পাড়া সান্দিয়াইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর ও বাড়বাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বখুরা দাখিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা সদরে যেতে এই কাঠের সেতুটি পাড় হতে হয়।
সান্দিয়াইন গ্রামের সূর্যত আলী (৬০) বলেন, ‘তিন বছর আগে কাঠ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহাওে সেতুটি তিন বছরেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। সেতুর পাটাতন ও রেলিং ভেঙে পড়েছে অনেক আগেই। সেতুটিতে উঠার পর দোল খেতে থাকে।
একই গ্রামের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এখানকার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা পড়–য়া শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের হাটবাজারসহ বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করতে ঝুঁকিপূর্ণ এই কাঠের সেতুই ভরসা। তবে পাড়াপাড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিশু ও বৃদ্ধরা। পাড়া সান্দিয়াইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, সেতুর বেশির ভাগই পাটতন ভেঙে গেছে । ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতিদিন অনেক শিশু-কিশোর সেতুর ওপারে উত্তর সান্দিয়াইন ও পাড়া সান্দিয়াইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর ও বাড়বাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বখুরা দাখিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়ালেখা করছে। তারা প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সেতুটি পার হয়।’ দীর্ঘদিন যাবত এখানে স্থায়ী একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি আসলেও এখনো কিছুই হয়নি।
এ প্রসঙ্গে রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি এলজিএসপি থেকে সেতুটি মেরামতের জন্য প্রকল্প দেয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগির মেরামত কাজ শুরু হবে।’
"