ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ভূমিহীনের বরাদ্দকৃত জমি দখলের অভিযোগ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ভূমিহীন দুটি পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া ২০ শতক কৃষি জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। দুই পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হলেও জোরপূর্বক সেই জমি দখলে নিয়ে পুকুর কেটেছেন প্রভাবশালীরা। ওই অবস্থায় নিজেদের প্রাপ্য জমি ফেরত পেতে ঘুরছেন দুই ভূমিহীন পরিবার। উপজেলার এক নম্বর সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকনহাটি গ্রামে মো. আবু তাহের ও ভাইদগাঁও গ্রামের জালাল উদ্দিন মাছ বিক্রি করে জীবন চালান। নিজেরদের কোনো জমিজমা না থাকায় কৃষি খাস জমি বন্দোবস্তের জন্য ১৯৯১ সালে আবেদন করেন। পরে ১৯৯২ সালের ২৫ মার্চ দুই পরিবারকে ৬৫ নম্বর দাগভুক্ত ভাইদগাঁও গ্রামে ১০ শতক করে কৃষি জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই জমি দখলে ছিল স্থানীয় প্রভাবশালী হযরত আলীদের কাছে। ভূমিহীন আবু তাহের ও জালাল উদ্দিনকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর তাতে যেতে বাধা দেয় হযরত আলীর লোকজন। জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর দিন ওই পরিবারটি তাতে চাষ করতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। এ ছাড়া তাহের ও জালালের পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলাও করা হয়। এদিকে, হযরত আলী তার দখলে থাকা জমি বন্দোবস্ত দেওয়ায় আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেন। সেই মামলায় ওই দাগের ৫৮ শতক জমির মধ্যে ৩৮ শতক তাদের পক্ষে ও বাকি ২০ শতক সরকারের পক্ষে রায় দেন।

আবু তাহের ও জালাল উদ্দিন বলেন, তাদের কোনো জমিজমা ছিল না। সরকার তাদের জমিটুকু বুঝিয়ে দেয়। তারা দখলে যেতে চাইলে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে এক সালিশে কিছু টাকা জরিমানা ধার্য করে তাদের দেওয়া হয়। এখন বলা হচ্ছে সেই টাকায় জমি তাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। প্রভাবশালী হযরত আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন বলেন, ভূমিহীন হিসেবে জমি তারা পেলেও সেই জমি তাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ২০ শতক জমিবাবদ তারা ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এখন তারা তা অস্বীকার করছেন। এ বিষয়ে ইউএনও এলিশ শারমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close