গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শিশু লিমন হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় লিমনকে হত্যা করে ৪ যুবক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শীতল গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্র লিমন হত্যার রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের ২৬ দিনের মাথায় হত্যাকা-ের রহস্য উন্মেচিত হলো। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, গত ২৭ আগস্ট সোমবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শীতল গ্রামে অপহরণ করে খুন করা হয় শিশু লিমনকে। ঘটনার পর থেকেই কোনো ক্লু না থাকায় পুলিশ নিহত শিশুর বিভিন্ন পারিবারিক দিক নিয়ে তদন্ত করতে মাঠে নামেন। কয়েক দিন পর একই গ্রামের যুবক নূর আলম (২৪) এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনার সূত্র ধরে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নানের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ গাজীপুরের জয়নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নূর আলমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে এই লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

ঘাতকদের দেওয়া জবানবন্দি থেকে জানা যায়, শিশু লিমনের বড় বোনকে ইভটিজিং এবং বারবার প্রেম প্রস্তাব দিয়ে বিফল হয় একই গ্রামের নেদু মন্ডলের পুত্র হারুনুর রশিদ (২২) ও আবদুর রশিদের পুত্র তৌফিক প্রধান (১৯)। লিমন ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করে এবং তার বাবা-মাকে জানায়। লিমনকে পথের কাঁটা ভেবে তাকে হত্যা করার সিন্ধান্ত নেয় তারা। এ কাজে তারা ওই গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে নূর আলম (২৪), আবদুল মজিদ প্রধানের ছেলে সাজু মিয়া (২৫), রফিকুল ইসলাম প্রধানের ছেলে পাপলু প্রধানকে (১৯) নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শিশু লিমনকে অপহরণ করে পাশর্^বর্তী একটি জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে নূর আলম লিমনের পা চেপে ধরে আর তৌফিক জীবিত অবস্থাতেই লিমনের অন্ডকোষ কেটে ফেলে। পরে ঘাতক হারুন লিমনকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পর দিন ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে পুলিশ নিহত লিমনের লাশ উদ্ধার করে।

আদালতে ঘাতকদের দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মজিবুর রহমান পিপিএম। তিনি জানান, গাইবান্ধা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান ও সহকারী পুলিশ অফিসার (সি সার্কেল) রেজিনুর রহমানের দিকনির্দেশনা মোতাবেক তদন্ত চালিয়ে লোমহর্ষক এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close