তরিকুল ইসলাম জেন্টু, আদমদীঘি (বগুড়া)

  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ঝড়ে বিধ্বস্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান টেন্ডার নিয়েও শুরু হয়নি কাজ

চাটাইয়ের বেড়া, নড়বড়ে টিনের ছাউনি, দরজা জানালা নষ্ট, হেলে পড়েছে ঘরের বিভিন্ন অংশ। চার বছর আগে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চালানো হচ্ছে শিক্ষাদান কার্যক্রম। এ অবস্থা বগুড়ার আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এদিকে, সরকারের দ্বিতীয় ধাপে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হওয়ার পর ভবন নির্মাণের জন্য টেন্ডার হলেও এখনো কাজ শুরু করা হয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে যেকোনো মুহূর্তে নড়বড়ে টিনের ঘর ভেঙে প্রাণহানিসহ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের।

উপজেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের সার্বিক সহযোগিতায় ৩৩ শতক জমিতে চাটাইয়ের বেড়ায় টিনের ছাউনি দিয়ে শুরু হয় এর শিক্ষা কার্যক্রম। এক যুগের অধিক সময় থেকে শিক্ষার মান উন্নয়নসহ প্রতিষ্ঠানটি যথেষ্ঠ সুনাম কুড়িয়েছে এলাকায়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে তৈরি চার কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ছাউনির এই বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক ও দেড় শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে দ্বিতীয় ধাপে এই বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০১৪ সালের ২৭ মে রাতে প্রচন্ড ঝড়ে বিদ্যালয়টির মাটির দেওয়ালসহ টিনের ছাউনি উড়ে যায়। চেয়ার, বেঞ্চ ও টেবিল ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিদ্যালয়টি বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হয়। বর্তমানে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে বলে জানান শিক্ষকরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, ভবন নির্মাণে জন্য বার বার আবেদন করার পর টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাজ শুরু হয়নি।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভবন নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে মাপজোক করেছেন। অল্প দিনের মধ্যে কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close