আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বেসরকারি স্কুলগুলোতে মডেল টেস্ট

পরীক্ষার নামে অর্থ আদায়

বরগুনার আমতলী উপজেলার বেসরকারি স্কুলগুলোতে মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। চূড়ান্ত জেএসসি পরীক্ষার এক মাস আগে পরীক্ষার্থীদের মডেল টেস্ট পরীক্ষার নাম করে পরীক্ষার ফি বাবদ ৩০০-৪০০ টাকা এবং সেশন ফি বাবদ ৩০০-৪০০ টাকাসহ মোট ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। শিক্ষাবোর্ডের নীতিমালা তোয়াক্কা না করে মডেল টেস্টের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা বিধি অনুযায়ী, বছরে দুটি পরীক্ষা গ্রহণের কথা রয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে জেএসসি পরীক্ষা। জানা যায়, আমতলী উপজেলায় ৩৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষা ফির নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ টাকা যাচ্ছে অসাধু শিক্ষকদের পকেটে। এদিকে, সেশন ফি এর টাকা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে ব্যয় করার কথা থাকলেও নিয়মনীতি না মেনে শিক্ষকরা টাকা ভাগ করে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয় নিয়ে সাধারণ শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে বিরাজ করছে অসন্তোষ। এ ব্যাপারে আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মেধা যাচাইয়ের জন্য মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়। শাখারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার বিধান আছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকমল হোসেন খান বলেন, অভিযোগ পেলে মডেল টেস্টের নামে অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও সরোয়ার হোসেন বলেন, বেআইনিভাবে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে অফিস আদেশ দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close