কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

  ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জমি আছে ঘর নেই প্রকল্প পাকা ঘর পেল ৭৪৭ পরিবার

‘কখনো ভাবিনি পাকা ঘরে ঘুমাবো, স্বপ্ন ছিল মৃত্যুর আগে যেন পাকা ঘরে ঘুমাতে পারি। সেই স্বপ্ন পূরণ করল বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় পাকা ঘর পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন খুলনার কয়রা সদর ইউনিয়নের মদিনাবাদ গ্রামের কেরামত আলী সানার ছেলে মাহাতাব আলী সানা (৬০)।

এ ছাড়া একই বিষয় নিয়ে মহারাজপুর ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের মৃত মান্দার গাজীর ছেলে আবদুল হাকিম (৪৭) জানান, দৈনিক মজুরিভিত্তিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। প্রায় এক যুগের বেশি পৈতৃক সম্পত্তির ওপর ভাঙা ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতাম। আশা ছিল পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো একটি ঘরে বসবাস করব। সেই আশা পূরণ করেছে বর্তমান সরকার। শুধু মাহতাব ও আ. হাকিম নয়, এ উপজেলায় ৭৪৭টি পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে বেজায় খুশি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পরিচালিত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে খুলনার কয়রা উপজেলার সাত ইউনিয়নের প্রথম পর্যায়ে ৩৫৪টি ঘরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৯৩টি ঘরের কাজ এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যে ২৮১টি ঘরের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। বাকি ১১২টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ের ৩৯৩টি ঘর দুস্থ পরিবার, দুস্থ বিধবা, অতিশয় গরিব, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাসহ ভিক্ষুকদের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। মূল ঘরে ১৭টি আরসিসি পিলার, টয়লেটে চারটি পিলার এবং চারদিকে দুই ফুট উঁচু ইটের গাঁথুনি ও ফ্লোর পাকা করা হয়েছে। অনুমোদিত ডিজাইন মোতাবেক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকা বিধায় ঘরগুলো একটু উঁচু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে অসহায় পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য ঘর তৈরি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ঘরের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব গৃহহীন জনগণকে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close