ফেনীর সানাগাজীতে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাঈন উদ্দিনসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রাম তাদের গ্রেফতার করা হয়। স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকালে উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী গ্রামের আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে হতদরিদ্রদের জন্য কম মূল্যে বিক্রয়কৃত চাল কিনে বাড়ি ফিরছিলো ওই কিশোরী। এ সময় স্থানীয় তিন বখাটে তাকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে ধর্ষকরা তাকে বাড়িতে পাঠানোর জন্য একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাতে তুলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় অটোরিক্সা চালকও ওই কিশোরীকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির জ্ঞান ফিরে এলে সে পালিয়ে যায়।

পরে ওই কিশোরী বাড়িতে এসে ঘটনাটি পরিবারকে জানালে তার বাবা স্থানীয় ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দিনকে বিষয়টি অবগত করেন।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দিন ঘটনায় জড়িত ধর্ষক জয়নাল আবেদীন (২০), নজরুল ইসলাম (২১) ও আনোয়ার হোসেনকে (২২) ডেকে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে নাকে খত দিয়ে ছেড়ে দেয়। এ সময় নির্যাতিত কিশোরীর বাবাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ইউপি সদস্য নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা সোনাগাজী মডেল থানায় তিন ধর্ষক, অটোরিক্সা চালক আলমগীর হোসেন (২৩) ও ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। অপরদিকে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

"