রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

  ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রানীশংকৈলে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা

ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈল পৌরশহরের রান্না ঘরের চালে টানা বাঁেশর সঙ্গে গলায় ফাঁস অবস্থায় খালেদা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্বার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে পৌরশহরের মহলবাড়ী গ্রামের ইউনুস আলীর বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা ফজলু রহমানের দাবী তার মেয়েকে হত্যা করেছে তার স্বামীর ও পরিবারের লোকজন। তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর থেকেই তারা আমার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন করে আসছিলো। কিছুদিন আগেই পারিবারিক ভাবে শালিস করে আমার মেয়েকে তার স্বামীর কাছে পাঠানো হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৃহবধূর স্বামীর পরিবারের লোকজন বলেন, আমরা কেন তাকে হত্যা করতে যাবো, সে নিজেই অজ্ঞাত কারনে আর্ত্বহত্যা করেছে। দুই পরিবারের এমন বক্তব্য জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এটি হত্যা না আর্ত্বহত্যা ? সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরার্জীণ রান্না ঘরের তীরের পুরনো এক বাঁশের সঙ্গে গলায় ফাঁস অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ রয়েছে। পা গুলো খানিকটা মাটিতে ছুই ছুই করছে। পাশেই বসার ছোট একটি টুল মাটিতে রয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মাস আগে মহলবাড়ী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে শামীমের সঙ্গে হরিপুর উপজেলার পূর্ব আমগাঁও (খানকি) গ্রামের ফজলুল হকের অর্নাস পড়–য়া মেয়ে খালেদা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। মেয়ের মামা এনামুল মাষ্টার জানান, কথা অনুযায়ী যৌতুকের তিন লক্ষ টাকাও দেওয়া হয় ছেলে পক্ষকে। তারপরেও তারা আমাদের মেয়েকে বিভিন্ন অুজহাতে নির্যাতন করতো। পরে এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ফজলু বাদী হয়ে রানীশংকৈল থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ করেন। এ ঘটনাটির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজগর আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close