দুলাল মিয়া, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা)

  ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

নাঙ্গলকোটে ডাকাতিয়ায় নেই সেতু ঝুঁকিপূর্ণ দীর্ঘ সাঁকোয় পারাপার

* স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ লোকজন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ে * দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর অংশের ওপর কোনো সেতু নেই। উপজেলার মৌকরা ইউপির চারিতুপা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সাঁকো। ইতোমধ্যে সাঁকোর মাঝখানের কাঠগুলো ভেঙে গেছে, নড়বড়ে হয়ে পড়েছে খুঁটি। ফলে সাঁকো দিয়ে চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। যেকোনো সময় জোয়ারের পানিতে ভেসে যেতে পারে সাঁকোটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডাকাতিয়া নদীর ওপর চারিতুপা অংশে ২৪০ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওরা একটি কাঠের সাঁকো। ১৯৮৮ সালের পূর্বে এখানকার মানুষ নদীর ওপর নৌকা দিয়ে চলাচল করত। নৌকাই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। পরে তারা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। তারপর গ্রামবাসীর নিজ অর্থায়নে ২০১৩ সালে এই কাঠের সাঁকোটি নির্মাণ করেন।

এদিকে, কালক্রমে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে সাঁকোর কাঠগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ভাঙতে শুরু করেছে সাঁকোর মাঝখানের কাঠগুলো। কোনোভাবে তালগাছের ডাসা দিয়ে চাপা দিয়ে বেঁধে ব্যবহার করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় আবদুল ওহাব, আবু তাহের, সাব্বির আহম্মেদ ও নুরুন নবী ভূঁইয়াসহ স্থানীয় লোক জানান, সেতুর অভাবে একাবাসীর দুর্ভোগের আর শেষ হয় না। স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় লোকজন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। বর্ষায় এলে অনেক ছাত্রছাত্রী স্কুল বন্ধ করে দেয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার ধারণা দিলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। তারা আক্ষেপ করে বলেন, নির্বাচন আসলে দেখা মিলে জনপ্রতিনিধিদের, এর আগে নয়। এ সময় সরকারের কাছে সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করার জন্য দাবি জানান তারা।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ফাইল পাঠানো হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ করার প্রক্রিয়া হয়ে আসবে। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দাউদ হোসেন চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close