আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

পায়রা নদীতে ভাঙন

হুমকিতে আমতলী পৌর শহর

বরগুনার আমতলীতে পায়রা নদীর ভাঙনে শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় হুমকিতে রয়েছে পৌর শহর। ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধও হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বিলিন হয়ে যাবে পাউবো অফিস, খাদ্য গুদাম, মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটসহ বহু স্থাপনা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আমতলী পৌর শহরকে পায়রা নদীর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ফেরিঘাট থেকে পাউবোর অফিস পর্যন্ত ১২০০ মিটার শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের অধিনে সিসি ব্লক ফেলে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ওই সময় নিম্নমানের কাজ করায় অল্পদিনে মধ্যেই ব্লক সরে যেতে থাকে। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন ও রোয়ানুর প্রভাবে আমতলী পৌর শহর সংলগ্ন পায়রা নদীর সিসি ব্লক সরে ও ভেঙে যায়। এতে ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, কাঠপট্রি, পুরনো লঞ্চঘাট ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকা নদী বক্ষে বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৪ সালে সিডর প্রকল্পের আওতায় আমতলী পৌরশহরকে পায়রা নদীর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় ১২০০ মিটার ব্লক মেরামতের কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমবিইএল ১১৫ মিটার পায়রা নদীর তীর সংরক্ষণে সিসি ব্লক সংস্কার করে অবশিষ্ট কাজ না করেই চলে যায়। এতে আরো হুমকির মুখে পড়ে পৌর শহর। গতকাল শনিবার পায়রা নদী সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পায়রা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের স্রোতে ঢেউ তীরে আঘাত হানে। এতে ব্লকগুলো সরে যাচ্ছে এবং দুর্বল অনেক ব্লক ভেঙে নদীতে বিলিন হচ্ছে। আমতলী সøুইজগেট এলাকায় দুই পাশের ব্লক সরে গেছে। বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। ফেরিঘাট, শ্বশানঘাট, সবুজবাগ মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লঞ্চঘাট ও খাদ্য গুদাম হুমকির মুখে পড়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডেল সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, শহর রক্ষা বাঁধের পঞ্চম স্তরের প্রজেক্টে আমতলী পৌর শহর রক্ষায় পায়রা নদীর ব্লক সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছি।

পাউবোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পৌর শহর রক্ষায় প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বাজেট পাওয়া গেলে কার্যক্রম দ্রুতভাবে কাজ শুরু করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close