ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ২১ আগস্ট, ২০১৮

গৃহকর্মী নির্যাতন

শরীরে ইস্ত্রি-খুনতির ছেকা কেটে নেওয়া হয়েছে চুল

ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জের এক তরুণী গৃহকর্মীকে ঢাকায় অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শরীর জুড়ে ইস্ত্রির ছ্যাঁকা নিয়ে কাতরানো বেগম আক্তার (২০) নামের ওই গৃহকর্মীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে ফাতেমা খাতুন নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের রাউলেরচর গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের চার মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার ছোট বেগম আক্তার।

জানা গেছে, গত প্রায় আট মাস আগে স্বামী পরিত্যক্ত বেগম আক্তারকে ঢাকায় কাজের জন্য নিয়ে যান বড়ইবাড়ি গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। ঢাকায় ভালো বেতনে একটি বাসায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু পরে আর কোনো খোঁজ রাখেনি বেগম আক্তারের। পরে ঢাকার মুগদা থানা এলাকার মানিকনগরের একটি ছয়তলা বাসায় কাজ পান বেগম। আবুল কালাম ও শিল্পি দম্পতির সংসারে গত কয়েক মাস ধরে কাজ করছিলেন বেগম। কিন্তু বেগমকে অকারণে অকথ্য নির্যাতের অভিযোগ উঠেছে। বেগমের শরীর জুড়ে ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, লোহার খোঁচা। শরীরের এমন কোনো অংশ নেই যেখানে নৃশংসতা চালানো হয়নি। কেটে দেওয়া হয়েছে মাথার চুল। ওই অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইনফেকশন হয়ে গেলে গত শনিবার বিকেলে একটি বাসে তুলে দেওয়া হয় বেগমকে। ওই দিন রাতে নির্যাতিত বেগম নিজের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে।

বেগম আক্তার জানায়, কাজ করতে একটু দেরি হলেই মারা হতো তাকে। টয়লেট ও রান্না ঘরে আটকে রাখা হতো। ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দেওয়া হতো।

নির্যাতিতার মা রুমেলা বেগম বলেন, আমার মেয়েরে যেভাবে মারছে হেরা তাদের ফাঁসি চাই আমি। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আহম্মেদ কবীর হোসেন বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close