ঝালকাঠি প্রতিনিধি

  ২১ আগস্ট, ২০১৮

ঝালকাঠিতে মসলার বাজারে ঊর্ধ্বগতি

ঝালকাঠিতে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরম হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। পাইকারি বাজারে সামান্য বাড়লেও খুচরায় দেড় থেকে দুইগুণ দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। প্রতিবারের মতো এবারো ঈদে মসলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের পকেট কাটছে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। আর হঠাৎ দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভোক্তারা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মসলার চাহিদা বেশি হয় কুরবানির ঈদে। তবে চাহিদা বাড়লেও দেশের পাইকারি বাজারে মসলার সংকট নেই। ফলে দাম বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। বরং আগের চেয়ে মসলার দাম অনেকটা কম বলে জানান তারা। গতকাল রোববার রাজাপুরের বাগড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি জিরা ৪৫০ টাকা, তেঁজপাতা ২০০ থেকে ২২০টাকা, দারচিনি ৩০০ থেকে ৩৫০টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, এলাচ ১৫০০ থেকে ১৭০০টাকা, কালো গোলমরিচ ১ হাজার থেকে ১১০০টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৩০০ থেকে ১৪০০টাকা, জয়ফল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, জৈত্রীক ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা, কিসমিস ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আলু বোখারা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঠবাদাম ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, পোস্তাদানা ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪২-৪৫ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০-৩২ টাকা। প্রকারভেদে কেজি প্রতি দেশি রসুন কেজিপ্রতি ১৪০ ও আদা ১০০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসলার পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার পাইকারি বাজারে মসলার দাম বাড়েনি বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, শুনেছি খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে মসলা বিক্রি করছে। আর এতে দোষ হচ্ছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের। ক্রেতারা মনে করছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের মনিটরিং কমিটি যদি সরেজমিনে মসলার বাজার পরিদর্শন না করে তাহলে তো অসৎ ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করবে। মসলা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, রোজায় মসলার দাম বাড়তি ছিল। তা আর কমেনি। এছাড়াও গত সপ্তাহে এলাচ, জিরা, আলু বোখারাসহ বেশ কয়েকটি মসলার দাম বেড়েছে। তাই আমাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদা, জিরা ও এলাচের দাম বেড়েছে। আর এক মাসের ব্যবধানে আদার দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। এলাচের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ।

বাজারের মসলা কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফারুক আহমেদ জানান, জিরা কিনতে এসেছি ২৫০ গ্রাম ইরানি জিরা ১৪০ টাকা চাচ্ছে। এক মাস আগেও ৮০ টাকায় কিনেছি। এছাড়াও আদার দামও কেজিতে ৪০ টাকা বেশি নিচ্ছে। আর এলাচের দাম আকাশ ছোঁয়া। ঈদের আগে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত বলে মনে করেনে তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close