পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ২০ আগস্ট, ২০১৮

নরসিংদীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে ও সড়কে বসছে পশুর হাট

নরসিংদীর পলাশে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ ও সড়কের পাশে অস্থায়ী পশুর হাট বসিয়েছেন ইজারাদাররা। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটাসহ যানজট ও পরিবেশগত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বলছে সরকারি নির্দেশনা না মেনে গরুর হাট বসিয়ে থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে গত ১ আগস্ট জেলা প্রশাসক এবং ইউএনও’র কাছে স্কুল ও কলেজ মাঠে অস্থায়ী গরুর হাট না বসানোর অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করে এলাকাবাসী ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

উপজেলার তালতলী বাজারে গিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা থেকে চরসিন্দুর পর্যন্ত সড়কের তালতলী বাজারে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়েছে। হাটের কারণে সৃষ্ট যানজটে সড়কটি দিয়ে যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে।

ইউএনও কার্যালয় থেকে উপজেলার অস্থায়ী পশুর হাটের তালিকা অনুয়ায়ী ডাঙ্গা বাজারের নামে ইজারা নিয়ে ডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় মাঠ ও সাধুর বাজারের নামে ইজারা নিয়ে সড়কের পাশে হাট বসানো হয়েছে। ডাঙ্গা ইউনিয়নের পূবালী বাজারের নামে পূবালী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ও জিনারদী বাজারের নামে ফুটবল খেলার মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট বসিয়েছেন ইজারাদাররা। এসব বাজারের ইজারাদারগণ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় বিদ্যালয়ে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটিয়ে বিদ্যালয় মাঠে তারা পশুর হাট বসিয়েছেন।

ইউএনও ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে অস্থায়ী পশুর হাঁট বসানো যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠে কুরবানি পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি।

অপর দিকে উপজেলার যুবলীগের সম্পাদক শেখ কামাল হোসেন নিজের দেওয়া শর্ত ভেঙে শিবপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি শহীদ আসাদ কলেজ মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শিবপুর পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরউদ্দিন মো. আলমগীর বলেন, ‘স্কুল ও কলেজের মাঠে গরুর হাট বসালে মাঠ ও খেলার পরিবেশ দুটিই নষ্ট হয়। এলাকাবাসীকে দুর্গন্ধের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এসব থেকে মুক্তি পেতে মাঠে গরুর হাট না বসানোর জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে।’

এ ব্যাপারে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের উপ-পরিচালক মাহবুব-উল করিম বলেন, সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে অস্থায়ী পশুর হাঁট বসানো যাবে না। সড়কের নির্ধারিত দূরত্বে হাঁট বসানোর জন্য চিঠিতে স্পস্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি বা ইজারাদার সেই আইন অমান্য করে তাহলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close