মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
মধুখালীতে শতাধিক একর জমির মরিচগাছে মড়ক
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কোরকদী ইউনিয়নের ঘোষকান্দি, বাসপুর খোদাবাসপুর রামদিয়া গ্রামের মাঠে অজ্ঞাত রোগে মরিচ গাছে মড়ক লেগে শতাধিক একর জমির মরিচ গাছ মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দাবি এতে তাদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হবে। এ বছর মধুখালী উপজেলায় ২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
সরেজমিন গতকাল শনিবার মাঠে গেলে কোরকদী ইউনিয়নের ঘোষকান্দি গ্রামের মরিচ চাষি ইয়াসিন সেখ জানান, তিনিসহ তাদের পরিবারে প্রায় ৫০ একর জমিতে মরিচ আবাদ করা হয়। গত এক মাস আগে থেকেই তাদের মাঠের মরিচ গাছে মড়ক লাগে। ওই সময় তার একজন চাচার মাধ্যমে কৃষি অফিসের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মাঠে আসার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত মাঠে আসেননি এবং তাদের কোনো পরামর্শ দেননি। তিনি আরো জানান, মাঠকে মাঠ মরিচ গাছ মারা যাচ্ছে। আগামী কার্তিক মাস পর্যন্ত মরিচের উৎপাদন হয়ে থাকে কিন্তু দুই মাস আগেই গাছ মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। এলাকার চাষিদের কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে তিনি দাবি করেন। ওই এলাকার মরিচ চাষি জিন্না সেখ, গোলাম মোস্তফা, আতিয়ার রহমান, বেলায়েত মীরসহ অনেকের একই দাবি করেন।
সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খবির মন্ডল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাকে কোনো খবর দেওয়া হয়নি। খবর দিলে তাৎক্ষণিক ওই মাঠে আমি উপস্থিত হয়ে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।
বাসপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়া জানান, আমাদের মাঠের সব মরিচ খেতে মড়ক লেগে মরিচ গাছ মারা যাচ্ছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
খোদা বাসপুর গ্রামের আবদুল আজিজ বলেন, আমার এক একর জমির মরিচ খেতে মড়ক লেগে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মধুখালী মরিচ বাজারের আড়তদার মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল জানান, বাজারে আগের মতো আর মরিচ আসছে না। মরিচ গাছ মারা যাওয়ার কারণে এ রকম হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাব মন্ডল জানান, এক মাস আগে এ উপজেলায় যোগদান করেছি। কোথাও অজ্ঞাত রোগে মরিচ নষ্ট হয়েছে কি না আমার জানা নেই। এ ধরনের অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বছর এখানে মরিচের ফলন আগের কয়েক বছরের তুলনায় ভালো। দামও ভালো থাকায় কৃষক ভালো অবস্থানে আছেন।
"