মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট
পুরনো ফেরিতে পার হতে লাগছে দ্বিগুণ সময়
পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। তীব্র স্রোতের কারণে নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অপরদিকে পানি বৃদ্ধির জন্য পন্টুন দিয়ে গাড়ি উঠা-নামা করতে সমস্যা হচ্ছে। ফেরিগুলো পুরনো হওয়ায় মাঝে মধ্যেই দেখা দিচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি। পুরনো ফেরির জন্য আগের চেয়ে সময় লাগছে দ্বিগুণ। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক যাত্রী পারাপার।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ অঞ্চেলের ২১ জেলার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। স্বাভাবিক সময়ে এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। ঈদ, পূজা বা বড় ধরনের উপলক্ষে এই নৌরুটে চাপ বেড়ে যায়। যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘেœ পারাপারের জন্য ঈদের আগে ও পরে তিনদিন পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হয়। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এ নৌরুটে ছোট-বড় ২০টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বর্তমানে এই নৌরুটে ইউলিটিটি ৮টি, রো রো ৮টি, কে টাইপ ৩টি ও মিডিয়াম একটি ফেরি রয়েছে। পাটুরিয়া প্রান্তে ৪টি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৬টি ঘাট প্রস্তুত করা হয়েছে।
শাহ আলী ফেরি মাস্টার আবদুর রহমান জানান, এই নৌরুটে অনেকে ফেরি পুরনো রয়েছে। সময়-অসময় ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে পুরনো ফেরিতে আগের মতো আর যানবাহন নিতে পারে না। নদীতে স্রোত বেশি থাকলে সময় লাগে বেশি। ট্রিপের সংখ্যাও কমে যায়। শাহ আলী নামের যে ফেরিটি তিনি চালান সেটি তার জন্মেরও আগের বলেও জানান তিনি।
সোলাইমান সুকানী নামের ফেরি মাস্টারের সহকারী জানান, স্বাভাবিক সময় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পাড়ি দিতে ৩০ মিনিট প্রয়োজন হয়। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে সময় একটু বেশি লাগে। আর বর্ষা মৌসুমে সময় লাগে এক ঘণ্টার বেশি। পুরনো ফেরিতে আরো বেশি সময় লাগে। স্বাভাবিক সময়ে ফেরিতে ২৬টির মতো ট্রিপ দিতে পারে। আর বর্তমানে ১৬-১৮টির মতো ট্রিপ দিতে পারে। এবার ঈদে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাম প্রাকাশে একাধিক ফেরি মাস্টার জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি অনেক পুরনো। নানা সমস্যায় জর্জরিত বেশির ভাগ ফেরি।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা বাণিজ্য শাখার মহাব্যবস্থাপক এস এস আশিকুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পাটুরিয়া ঘাটে ২০টি ফেরি রয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে নিরাপদে ও নির্বিঘেœ ফেরি পারাপার করতে বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে।
"