কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

  ১১ আগস্ট, ২০১৮

৮০০ বছরের পুরনো মসজিদ : ঐতিহ্য রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ৮০০ বছরের প্রাচীন মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি জৌলুস হারিয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় কোনো রকম টিকে আছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মসজিদটিতে নামাজ আদায় করছেন গ্রামবাসী। ঝুঁকি এড়াতে গ্রামের লোকজন ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার মসজিদের সংস্কারকাজ করিয়েছেন। দ্রুত মসজিদটির সংস্কার করা না হলে হারিয়ে যেতে পারে ঐতিহ্যবাহী এ স্থাপনাটি। তাই এলাকাবাসী মসজিদটি সংস্কার ও রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

মসজিদটির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে হারুলিয়া গ্রামের কেউ সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। কেউ বলেন, মোগল শাসনামলে ১২০০ খ্রিস্টাব্দে শাইখে মুহাম্মদ ইয়ার নামক ধর্মপ্রাণ এক ব্যক্তি মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। আবার কেউ বলেন, মসজিদটি রাজা লক্ষণ সেনের আমলে নির্মিত হয়েছে। তবে গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, গাইন সম্প্রদায়ের লোকরা মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। তাই একে গাইনি মসজিদ বলা হয়। মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, মসজিদের ভেতরের দেয়ালের গায়ে ফার্সিতে শাইখে মুহাম্মদ ইয়ারের নাম এবং ১২০০ খ্রিস্টাব্দ লেখা রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, শাইখে মুহাম্মদ ইয়ারই মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে তা প্রতিষ্ঠা করেন।

হারুলিয়া গ্রামের নবীণ-প্রবীণ বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তারা জানান, মোগল আমলে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর শাসনকালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে বলে শুনে আসছেন তারা। উপমহাদেশে তৎকালীন সময়ে নির্মিত আটটি মসজিদের মধ্যে এটি অন্যতম। গ্রামবাসী মসজিদটিকে হারুলিয়া দক্ষিণপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ বলে ডাকলেও এলাকায় এটি গাইনি মসজিদ হিসেবে পরিচিত। তবে মোজাফরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, মসজিদটি রাজা লক্ষণ সেনের আমলে নির্মিত হয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি, উপমহাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় নিদর্শন এ মসজিদটিকে টিকিয়ে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই ব্যবস্থা নেবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close