সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
উন্মুক্ত প্লাবন ভূমিতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রায় দুই হাজার একর উন্মুক্ত প্লাবন ভূমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর দিয়ারপাড়া, মালিপাড়া ও সিমলা মোড়দহ ব্রিজের কাছে দীর্ঘদিন ধরে এসব বাঁশের বানা বসানো হয়েছে। এলাকার লোকজন দল বেঁধে এ অবৈধ কাজ করেছে। গত সপ্তাহখানেক আগে বাঙ্গালা ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া, মালিপাড়া, চরপাড়া, রহিমপুর, গাড়াবাড়ী ও সিমলা মোড়দহ এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠ এলাকা বন্যায় তলিয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিক বন্যা হলেই এসব মাঠ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গঙ্গারামপুর দিয়ারপাড়া মাঠে উন্মুক্ত প্লাবন ভূমিতে দীর্ঘ বাঁশের বানার বেড়া দেওয়া হয়েছে। পাশের মালিপাড়া মাঠে বড়-ছোট গোটা সাতেক ও সিমলা মোড়দহ ব্রিজের কাছাকাছিতে দীর্ঘ বাঁশের বানার বেড়া দেওয়া হয়েছে। এলাকার সাধারণ লোকজন জানায়, এ সব বানায় বেড়া দিয়ে উন্মুক্ত প্লাবন ভূমির মাছ আটক করা হয়েছে। উন্মুক্ত প্লাবন ভূমির মাছের অবাধ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ভূমির মালিক সাধারণ জনগণ হলেও তারা বিভিন্ন শাসন ও হুমকির কারণে নীরব থাকছে বলে জানানো হয়। প্রভাবশালীরাই দল বেঁধে এ বেড়া দিয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, গঙ্গারামপুর দিয়ারপাড়া এলাকায় মো. আলহাজ মিয়ার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল, মালিপাড়ায় মো. আরমান আলীর নেতৃত্বে আর একটি দল এ বেড়া দিয়েছে। একইভাবে সিমলা মোড়দহতে পাঁচ থেকে ছয়জনের দল বেড়া দিয়েছে।
গঙ্গারামপুরে মো. আলহাজ মিয়া ও তার দলের কয়েকজন জানান, তাদের এ কাজ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য এবং অবৈধ জেনেও করেছেন। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা সরকারি প্রশাসনের কাউকে জানায়নি। বাঙ্গালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। তবে এসব অপসারণে উদ্যোগ ও প্রশাসন চাইলে সহযোগিতা করবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. বায়েজিদ আলম বলেন সরকারি আইনে উন্মুক্ত প্লাবন ভূমিতে এসব পেতে মাছ আটকানো দন্ডনীয় অপরাধ। এসব জরুরিভাবে অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইউএনও মো. আরিফুজ্জামান বলেন জরুরি ভিত্তিতে এসব অপসারণ করে সাধারণ জনগণের জন্য প্লাবন ভূমি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
"