পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

  ০৯ আগস্ট, ২০১৮

পাঁচবিবিতে মরিচচাষিদের ভাগ্য ফিরেছে

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল মরিচ চাষে বিখ্যাত। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে এ মরিচ। মৌসুমের শুরুতে মরিচের দাম কম থাকায় অনেক কৃষক মরিচ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু কর্তমানে মরিচের আশানুরূপ দাম পেয়ে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। মরিচ চাষিদের ভাগ্য ফিরেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৗসুমে ২০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে সুলতানপুর, বড়মানিক, ছিটমানিক, ধরঞ্জী, কড়িয়া, নওদা, কোকতাড়া, বালিঘাটা, বাগুড়ী গ্রামে সরজমিনে ঘুরে মরিচ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের শুরতেই কাঁচামরিচের প্রতি মণ ৪০০-৫০০ টাকা; যা উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া বাজারে চাহিদা কম থাকায় মরিচ খেতের যতœ নেওয়া বন্ধ করে দেন চাষিরা। দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় তারা মরিচ খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অযতœ আর অবহেলায় পড়ে থাকা গাছগুলোকে নিবিড় পরিচর্যা করে সতেজ করে তোলেন চাষিরা। ফলনও হয়েছে ভালো। বর্তমানে কাঁচামরিচ পাইকারি প্রতি মণ প্রায় চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মরিচ চাষি জাকির হোসেন জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে মরিচ চাষ করেন। ওই ক্ষেত থেকে তিনি প্রতি সপ্তাহে দেড় থেকে দুই মণ মরিচ বিক্রি করছেন। এবার তিনি ৮০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কাঁচামরিচের বাজার ভালো থাকায় চাষিরা এবার ভালো আয় করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close