হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ০৯ আগস্ট, ২০১৮

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাড়লেও বাড়েনি ভারতে পণ্য রফতানি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বাড়লেও বাড়েনি ভারতে পণ্য রফতানি। বাণিজ্যভিত্তিক এ বন্দর দিয়ে একমাত্র রফতানি খাতেই বছরে কোটি কোটি ডলার আয় করা সম্ভব। কিন্তু কাগজীয় জটিলতা ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এদিকে রফতানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে হিলিবন্দর দিয়ে শাকসবজি, কলা, আলুসহ বেশ কিছু পণ্যের ভারতে ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও রফতানি করতে পারছেন না তারা।

১৯৮৬ সাল থেকেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়। বন্দরের গতি বৃদ্ধি ও সরকারের রাজস্ব বাড়াতে ২০০৫ সালে এটিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমদানি খাতে এর গতি বৃদ্ধি পেলেও কাগজীয় জটিলতা ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে রফতানি খাত ঝিমিয়ে পড়ে। বাংলাদেশি কলা, পেঁয়াজের ফুলকা, আলুসহ সব ধরনের সবজি, গার্মেন্টের ঝুট কাপড়সহ ভারতের বাজারে বাংলাদেশের বেশ কিছু পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সামান্য কিছু সমস্যার কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, দুদেশের সরকার যদি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করে, তাহলে মাসে কোটি কোটি ডলারের পণ্য বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা সম্ভব বলে মনে করেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

এদিকে কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, গত অর্থবছরে হিলিবন্দর থেকে চিটাগুড়, রাইস ব্র্যান্ড (তুষের তেল), মোটরপাম্পসহ বিভিন্ন পণ্য ভারতে রফতানি করা হয়। যার পরিমাণ দুই হাজার টন। আর এ থেকে ১৬ লাখ ৫৯ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সমান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close