মেহেরপুর প্রতিনিধি
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
লোকলজ্জার ভয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার সুবিধপুর খান পাড়ায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩) বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সে বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে ওই ছাত্রীর অভিযোগ। মনিরুলকে আসামি করে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ মামলা করলে গত রোববার পুলিশ তাকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। এক সন্তানের জনক অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম গ্রামের একই পাড়ার মাজেদ আলীর ছেলে। মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য মনিরুলের স্বজনরা মেয়েটির বাবাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও জানা যায়।
জানা যায়, প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম আট মাস পূর্বে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য খুন করার হুমকি দেয়। এরপর নানা কৌশলে ও হুমকি দিয়ে তাকে ৫-৬ বার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, বড় মেয়ের সন্তান প্রসবে সহযোগিতা করার জন্য বাড়ি ছেড়ে মাস খানেকের জন্য একই উপজেলার গোভিপুর গ্রামে বড় মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করি। ওই সময় লম্পট মনিরুল আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে। এখন মেয়েটির পেটে সাত মাসের বাচ্চা। সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। এ দিকে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের পিতা মাজেদ বলেন, তার ছেলে যদি দোষী হয় বিচার মাথা পেতে নেবেন। তবে অন্যায়ভাবে যেন ছেলের প্রতি অবিচার করা না হয়। কারণ এর আগে ওই মেয়ে আরেক যুবকের নামে অভিযোগ করেছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব জানান, আসামি মনিরুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিতা মেয়েটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাজে জবাববন্দি দিয়েছে। বাচ্চা জন্মানোর পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে সন্তানটি কার। সে পর্যন্ত আসামিকে জেলহাজতে রাখার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
"