ইমরান হোসেন সুজন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
দুই কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার হয়নি কখনোই
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া-ঘোষাইল রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী প্রায় ৩০ হাজার স্থানীয় বাসিন্দা। কিছুদিন আগে নামমাত্র বালু ফেলে সংস্কার করা হয়। তবে সংস্কারের কিছুদিনের মধ্যেই পুরোনো চেহারা ফিরে পায় রাস্তাটি।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী শাহজাহান ভূঁইয়া বলছেন, রাস্তাটির ব্যাপারে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারুয়াখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া হয়ে জৈনতপুর, দীর্ঘগ্রাম, জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঘোষাইল, রাজাপুর ও বালেঙ্গা যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মাত্র দুই কিলোমিটার এই রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় এর সর্বত্র জুড়ে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসী জানান, কিছুদিন আগে আলালপুর থেকে ভাঙ্গাপাড়া পর্যন্ত কিছু অংশ কার্পেটিং করা হয়। কিন্তু ভাঙ্গাপাড়া থেকে ঘোষাইল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার করা হয়নি। প্রায় ১০-১১ বছর যাবৎ তেমন সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মাঝে মধ্যে এলাকাবাসীর প্রয়োজনে মাটি দিয়ে কিছু সংস্কার করা হলেও সামান্য বৃষ্টিতেই ধসে পড়ে।
তারা আরো জানান, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন দুটি প্রাথমিক, একটি মাধ্যমিক ও দুটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এ ছাড়া রাস্তাটির ওপর নির্মিত একটি সেতু দুই পাশের রেলিংবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে ৯ বছর যাবৎ। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে পারাপারের সময়ও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ।
বারুাখালী উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ধূলাবালি, আর বর্ষা মৌসুমে পিচ্ছিল। এভাবেই আমাদের স্কুলে যাওয়া আসা করতে হয়। একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রানা হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে কোনোভাবে চলাচল করলেও বর্ষা ও বৃষ্টির দিনে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনেক সময় নিয়মিত স্কুলে যেতে পারি না।
ভাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা আ. রাজ্জাক বলেন, ‘নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দেন। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সামনে নির্বাচন, এবারও নেতাকর্মীরা আশ্বাস দিবেন। কিন্তু আমরা আর আশ্বাস শুনতে চাই না। চাই রাস্তাটির সংস্কার।’
বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান শিকদার বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি, একটু পরে কল দিচ্ছি। এরপর তিনি আর কল রিসিভ করেননি।
"