তপন কুমার সরকার, আত্রাই (নওগাঁ)
দুই দশক আগের ইটের সলিং এখন মরণফাঁদ
নওগাঁর আত্রাই উপজেলাধীন বিশা ইউনিয়নের সমসপাড়া বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত দুটি রাস্তার ইট সলিং ওঠে গিয়ে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার না করার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে শত শত মানুষ। উপজেলার সমসপাড়া বাজারের পূর্ব দিকে ইসলামপুর গ্রামের শেষ সীমানা এবং পশ্চিমে ইসলামগাঁথী পর্যন্ত এ রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমসপাড়া এলাকায় দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি (প্রাইভেট) কিন্ডারগার্টেন স্কুল, দুটি মাদ্রাসা, দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও একটি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের শাখা রয়েছে। তা ছাড়া সমসপাড়ার পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের জনসাধারণ প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদসহ হাট-বাজারে যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এ রাস্তা ব্যবহার করতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য ১৯৯৮ সালে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তা ইট দিয়ে সোলিংয়ের কাজ করেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় এবং বৃষ্টি ও বন্যায় ইটের সোলিং ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। ফলে এই রাস্তা দিয়ে হাট বাজারে কৃষিপণ্য বহনসহ যানবাহন চলাচল দুরুহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রোগীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে স্বজনদের পড়তে হয় মহাবিপদে।
সমসপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র রবিউল বলে, এ রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় ছোট-খাটো অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। বর্ষাকালে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার অবস্থা এত খারাপ হয় যে, ওই রাস্তা দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। তেজনন্দী গ্রামের দুলাল সরকার বলেন, দীর্ঘদিন আগে রাস্তাটিতে ইট বিছানো হয়েছিল। এরপর থেকে সংস্কার না করায় ইটগুলো ওঠে গিয়ে রাস্তা দিয়ে এখন ভ্যানও চলাচল করতে পারে না। ফলে আমাদের কৃষিপণ্য বহন করা চরম কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মান্নান মোল্লা বলেন, আমাদের সরকার জনবান্ধব সরকার। এই ইউনিয়নের অনেক রাস্তার কাজ হয়েছে। শিগগিরই এই রাস্তাটিরও সংস্কার কাজ হবে বলে আশা করছি। উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, রাস্তাটি কর্তৃপক্ষের নলেজে আছে। যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার কাজ করা হবে।
"