বগুড়া প্রতিনিধি
ধর্ষণ মামলার আসামি রক্ষা চেষ্টা
বগুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য কারাগারে
বগুড়ায় ধর্ষণ মামলার আসামিকে রক্ষার চেষ্টার অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. আবদুর রহিম এ আদেশ দেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউপির চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ এবং ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের এক নারী গত বছরের ৩ অক্টোবর বগুড়ার আদালতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের পর ওই নারী একটি সন্তানের জন্ম দেন। এ বিষয়ে আদালত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। বাদী অভিযোগ কওে বলেন, আসামি শামসুর রহমান রায়নগর ইউপির চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ ও ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল যোগসাজশ করে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক বাদীর কাছ থেকে তারা স্বাক্ষর নিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আপসনামা তৈরি করেন। পরে ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দেন।
এ নিয়ে গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি নির্যাতিত ওই নারী আদালতে নারাজি দেন। সেখানে তিনি চাপ প্রয়োগ করে জোরপূর্বক আপসনামায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের সরকারি কৌসুলি আশেকুর রহমান বলেন, নারাজির আবেদনের ভিত্তিতে গতকাল শুনানির দিন ধায্য করা হয়। এ সময় আপসনামায় স্বাক্ষর করা ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যকে আদালতে তলব করেন বিজ্ঞ বিচারক। এ সময় আদালত তাদের ধর্ষণ মামলার আসামিকে রক্ষাচেষ্টার অভিযোগে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার মূল আসামি শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
"