মো. রকিবুল হাসান বিশ্বাস, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)
সংস্কারের অভাবে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে ব্রিজ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় সংস্কারের অভাবে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে একাধিক ব্রিজ। দীর্ঘদিন পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার না করায় ব্রিজগুলো বর্তমানে বেহাল। চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরেও মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ব্রিজ দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা, হ্যালোবাইক, মাইক্রোবাস, ট্রাকযোগে যাতায়াত করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তার হাতনী চকের ব্রিজ, সুদক্ষীরার ব্রিজ, ধল্লার জায়গীর ব্রিজ, ভূমদক্ষিণ, নয়া পাড়া ব্রিজ, জয়মন্টপের দেওলী দশাআনি ব্রিজ, কিটিংচর ব্রিজ, জয়মন্টপ নতুন বাস স্ট্যান্ড ব্রিজ, চান্দহরের মাধবপুর ব্রিজ ও সিংগাইর পৌরসভার আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্রিজের দুই পাশের সেফটি রেলিং ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে ঝুলে আছে। আবার কোনো কোনো ব্রিজের মাঝখানের সিমেন্ট সুরকি সরে গিয়ে ঢালাই লোহা বের হয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া ব্রিজের অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গিয়ে ঢালে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ব্রিজ দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের শত শত যানবাহন চলাচল করছে। ব্রিজের সেফটি রেলিং না থাকায় ও সংযোগ সড়ক নিচু হওয়ায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।
সিএনজি চালক করিম বলেন, অনেক দিন যাবৎ ব্রিজগুলোর হাতল ভেঙে আছে, সংযোগ সড়ক ব্রিজ থেকে নিচু হয়ে যায়। মেরামতের খবর নাই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙ্গাচুড়া ব্রিজ দিয়ে গাড়ি চালাই।
হেলোবাইক চালক আবুল বাসার বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলোতে গাড়ি চালাতে প্রতিনিয়ত বুকের মধ্যে ধুক ধুক করে। ব্রিজের সংযোগ সড়কে ওঠতে ঝাকুনিতে কোমর ও শরীর ব্যথা হয়ে যায়। গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়।
হাতনী গ্রামের শিক্ষার্থীর অভিভাবক শাহিদা বলেন, রেলিং ছাড়া এসব ব্রিজের ওপর দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতায়াত করে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত আমরা দুর্ঘটনার চিন্তায় উদ্বিগ্ন থাকি। আরেক অভিভাবক ফাহমিদা বলেন, আমার ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। ব্রিজ-রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ বলে আমি বাড়ির কাজ বাদ দিয়ে নিজেই স্কুলে আনা নেওয়া করি। সব সময় টেনশনে থাকতে হয়। সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক বলেন, নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে শিগগিরই ব্রিজগুলো পুনর্নির্মাণ করা হবে। এ ব্যাপারে আমি কাজ করে যাচ্ছি।
"