ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
৩ বছরেও চালু হয়নি এক্স-রে মেশিন
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর ৫১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় তিন বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি। ফলে সেই যন্ত্রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের রোগীদের এক্স-রে করানোর জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজিতে। অথবা বাধ্য হয়ে মানুষকে যেতে হচ্ছে কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট ও বিভাগীয় শহর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জানা গেছে, সব ধরনের এক্স-রে করা যাবে এমন সুবিধা নিয়ে ২০১২ সালে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয় লিসটেম ব্র্যান্ডের মেশিনটি। শুরুতে এর সুবিধা রোগীরা পেলেও সেটি বর্তমানে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে কক্ষে। এরপর আর চালু হয়নি। এক্স-রে মেশিনটি চালানোর জন্য রেডিওগ্রাফার পদে নিয়োগ দেওয়া হয় বিশ্বনাথকে। যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তাকে রোগীদের ওষুধ সরবরাহের জন্য ‘ফার্মাসিস্ট’ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
রেডিওগ্রাফার বিশ্বনাথ বলেন, ভেতরের দু-একটি যন্ত্রাংশ মেরামত করলেই এক্স-রে মেশিনটি পুনরায় চালু করা যাবে। অনেকবার তথ্য দিয়ে জানানো হলেও যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়নি। কুটিচন্দ্রখানার টলিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রলি চালাতে গিয়ে বুকে ব্যথা পেয়ে ডাক্তারের কাছে যাই। পরে তার পরামর্শে এক্স-রে করাতে গিয়ে জানতে পারি যন্ত্র বন্ধ। ফলে বাধ্য হয়ে আমাকে লালমনিরহাট যেতে হয়েছে। এতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।’ ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেশকাতুল আবেদ বলেন, ‘অকেজো এক্স-রে মেশিনটি ফের চালু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপর কয়েকজন এসেছিলেন ঠিকই, কিন্তু চালু করতে পারেননি।’
"