কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পাগলা মসজিদে ৫৪ দিনে জমা পড়ল প্রায় ৮৯ লাখ টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক তিন মাস সাত দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদের উপস্থিতিতে দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। দানের টাকা প্রথমে সিন্দুক খুলে প্রথমে বস্তায় ভরে পরে গণনার কাজ করা হয়। টাকা গণনা করার পর জানা যাবে, এবার কত টাকা সিন্দুকগুলোতে দান হিসেবে পাওয়া গেল।
তবে সিন্দুক খুললে প্রতিবারে কমবেশি কোটি টাকা পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা গণনা শেষে মসজিদের পাঁচটি দানবাক্স থেকে চুরিকৃত দানবাক্স ব্যতীত বাকি চারটি থেকে এবার ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া যায়। এর সঙ্গে বেশি কিছু বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এর আগে গত ৩১ মার্চ মসজিদের চারটি দান বাক্স থেকে ৮৪ লাখ ৯২ হাজার চার টাকা পাওয়া যায়।
মসজিদের মুসল্লিরা জানান, প্রতি চার মাস পর পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়ে থাকলেও এবারের সময়ের ব্যবধানটা একটু ভিন্ন। গত ১৩ মে গভীর রাতে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে টাকা চুরির চেষ্টা করা হয়। চোরকে হাতেনাতে ধরতে না পারলে চুরিকৃত অর্থ ফেলে পালায় চোর।
চুরিকৃত অর্থ বাজেয়াপ্ত করার পর কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের সাঈদের তত্ত্বাবধানে সব অর্থ গণনা করা হয়। গণনা শেষে সেখানে আট লাখ চার হাজার ৯৮১ টাকা ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
"