নইন আবু নাঈম, শরণখোলা (বাগেরহাট)
শরণখোলায় সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ
বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রকৌশল বিভাগের যোগসাজশে একটি সড়ক সংস্কারকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রায়েন্দা-বানিয়াখালী সড়কের চলমান কাজ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আরআইডিপি প্রকল্পের অর্থায়নে বাগেরহাটের মেসার্স শুভ এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে উপজেলার কদমতলা এলাকার বাসিন্দা শামীম তালুকদার নামের এক ঠিকাদার প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের দুই কিলোমিটার এলাকার সংস্কারের কাজ পান, যা চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ না করে প্রকৌশল বিভাগের যোগসাজশে তড়িঘড়ি করে ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা সংস্কার শুরু করেন। এ ছাড়া ভেজা ও কর্দমাক্ত রাস্তায় নিম্নমানের প্রাইমকোডসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করলে তার অধিকাংশই বৃষ্টির পানিতে ইতোমধ্যে ধুয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে এসব অনিয়ম দেখেও না দেখার ভান করে দায়সারা সংস্কারকাজে ঠিকাদারকে সহযোগিতা করে চলছে। গত ২৮ জুন বিকেলে এলাকাবাসী এ নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করে। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য কাজ বন্ধ রাখেন সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট রাজৈর এলাকার এক সমাজসেবক বলেন, কাজে অনিয়মের পাশাপাশি বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় ঢালাই দেওয়া হয়েছে। যার স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কয়েক মাস পর রাস্তার পুরনো চেহারা পুনরায় ফুটে উঠবে। আর এতে বদনাম হবে উন্নয়নমুখী সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এ ছাড়া গতকালের মধ্যে যেহেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়নি, সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাঠানোর নিয়ম থাকলেও প্রকৌশল বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কাজ না করেই ফাইনাল বিল পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি তিনিও স্থানীয়দের কাছে শুনেছেন। তবে সঠিক নিয়মে যাতে সংস্কারকাজ হয়, সে জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে অনুরোধ জানাবেন।
অন্যদিকে, ঠিকাদার শামীম তালুকদার সব অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করেন। পাশাপাশি রাস্তা সংস্কারের পর আগামী দুই বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তার নিজের জামানতের টাকায় পুনঃসংস্কার করার আশ্বাস দেন। উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে, বৃষ্টির মধ্যে সড়ক সংস্কারের কোনো নিয়ম নেই। তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান।
"