কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোম্পানিগঞ্জে প্রশংসাপত্রে জনপ্রতি ৫০০ টাকা আদায়
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউপির জামেয়া শরাফাতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সদ্য দাখিল পাস করা শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্র দেওয়ার নামে হাজার হাজার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রশংসাপত্র নেওয়া জন্য সরকারি নির্দেশনা না থাকলে জনপ্রতি ৫০০ টাকায় আদায় করছে তারা। আগের প্রতিষ্ঠানের আটকে রাখার কৌশল হিসেবে এই কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। প্রতিষ্ঠানটিতে এ বছর ৫৪ শিক্ষার্থী দাখিল উত্তীর্ণ হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দাখিল পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর শরাফাতিয়া মাদ্রাসা থেকে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে পূর্বের প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্রের প্রয়োজন হয়। এ জন্য শরাফাতিয়া মাদ্রাসার প্রশংসাপত্রের জন্য গেলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫০০ টাকা করে দাবি করে কর্তৃপক্ষ। এমনকি টাকা ছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্র দিতে নারাজ অধ্যক্ষ। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন অনুসন্ধানে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, সরকারি নিয়ম না থাকলেও আগে থেকেই প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা দিতে হয়। কেন টাকা দিতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিবেদকে অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি না হয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে কেন? এজন্য তাদের থেকে টাকা দিতে হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ ইউএনও মো. জামিরুল ইসলাম জানান, প্রশংসাপত্র প্রদানে অর্থ আদায় করা যাবে না। আইন লঙ্ঘন করে অর্থ আদায় করলে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ মো. কামাল পারভেজ জানান, প্রশংসাপত্রের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এমন কাজে লিপ্ত হয় তবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"